মঙ্গলবার (১২ সেপ্টেম্বর) রাতে ইসহাকের সঙ্গে দেখা হয় এ প্রতিবেদকের। তিনি জানান,বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীকে সরাসরি এভাবে দেখা স্বপ্নের মতো লাগছে। কল্পনাও করতে পারেননি যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন এবং এত কাছে পাবেন। তিনি বারবার প্রধানমন্ত্রীর দীর্ঘায়ু কামনা এবং আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন।
মঙ্গলবার উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শন করনে প্রধানমন্ত্রী। তিনি যখন মঞ্চ থেকে নেমে রোহিঙ্গাদের খোঁজ-খবর নিতে যাচ্ছিলেন তখন ইসহাক বলেন, ‘আমরা খুবই নির্যাতিত।’ প্রতি উত্তরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সান্ত্বনা দিয়ে বলেন, ‘চিন্তা করো না, সব ঠিক হয়ে যাবে। তোমাদের জন্য সাধ্য মতো চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আন্তর্জাতিকভাবে মিয়ানমার সরকারকে চাপ দেওয়া হচ্ছে। যাতে করে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে তোমরা দেশে ফিরে যেতে পারো।’
শুধু ইসহাক নয়, ওইদিন প্রধানমন্ত্রীর সান্নিধ্য পান রোহিঙ্গা নারী উম্মে হাবিবা, আয়েশা বেগম, আমিন ইল্লাহ, নুরুল বশর ও শিশু মোহাম্মদ আনাছ মিয়াসহ ১৫ জন। প্রায় তিন শতাধিক আহত রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ ও শিশুদের তালিকা থেকে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করার সুযোগ পায় এই ১৫ জন।
কুতুপালং রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্পের ডি-ব্লকের মাঝি মোহাম্মদ হারুন জানান, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে তিনি ১১৫ জন গুরুতর আহত নারী, শিশু ও পুরুষের তালিকা দেন।
তিনি আরও জানান, সম্প্রতি পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে তার ডি-৪ ব্লকে আহতের সংখ্যা বেশি। অথচ, ওই ব্লকে এখনও পর্যন্ত কোনও ধরনের ত্রাণ ও চিকিৎসা সেবা পাননি।
মঙ্গলবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মিয়ানমার থেকে আশ্রয়ের জন্য আসা নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের দেখতে কক্সবাজারের উখিয়ার কুতুপালং ক্যাম্প পরিদর্শন করেন। এ সময় তিনি রোহিঙ্গাদের কাছ থেকে নানা নির্যাতনের কথা শোনেন এবং আহতদের ত্রাণ বিতরণ করেন।
প্রসঙ্গত, গত ২৪ আগস্ট মিয়ানমারের আরকান রাজ্যে পুলিশ পোস্টে হামলা চালায় সে দেশের একটি বিদ্রোহী গ্রুপ। এতে ১২ পুলিশ সদস্যসহ বহু রোহিঙ্গা হতাহত হয়। এ ঘটনায় রাখাইন রাজ্যে অভিযানের নামে সাধারণ মানুষ ওপর হত্যা,ধর্ষণ,বাড়িঘরে আগুনসহ নানা নির্যাতন অব্যাহত রেখেছেন মিয়ানমারের নিরাপত্তা বাহিনী। এ কারণে লাখ লাখ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছেন।