মেঘনা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষে আগ্রহ বাড়ছে যুবকদের, কমছে বেকারত্ব

chingriকুমিল্লায় মেঘনা নদীতে খাঁচায় মাছ চাষে দিন দিন আগ্রহ বাড়ছে স্থানীয় যুবকদের। এলাকায় বেকারত্বও কমছে খাঁচায় মাছ চাষে। বিশেষ করে কুমিল্লার মেঘনা উপজেলার মেঘনা নদীর বিভিন্ন পয়েন্টে এ মাছ চাষ করা হচ্ছে। এখানে কম খাবারে দ্রুত বৃদ্ধি পায় বলে তেলাপিয়া মাছ বেশি চাষ করা হচ্ছে। পুকুর ও খামারে চাষ করার থেকে নদীতে চাষ করা মাছের স্বাদ ব্যতিক্রম। তাই এই মাছের চাহিদাও বেশি।



সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, মেঘনা উপজেলার ওমরাকান্দা ব্রিজ এলাকাসহ কয়েকটি পয়েন্টে ব্যক্তি উদ্যোগে খাঁচায় মাছ চাষ করা হচ্ছে। নদীতে চার কোনের বাঁশ বা এঙ্গেলে জাল লাগিয়ে খাঁচা বানানো হয়। সেই খাঁচা ড্রামে ভাসিয়ে রাখা হয়। পানি বাড়লে খাঁচা উপরে উঠে- কমলে নিচে যায়। সেই খাঁচায় মাছের পোনা ফেলে ভাসমান খাবার দেওয়া হয়।
খাঁচায় মাছ চাষকারীদের একজন মেঘনা উপজেলার ওমরাকান্দা ব্রিজ এলাকার জসিম উদ্দিন। তিনি জানান, দীর্ঘদিন ধরে তিনি মাছ চাষ করছেন। আগে জমি লিজ নিয়ে তিনি মাছ চাষ করেছেন। এই এলাকায় পুকুর কম, পরে জানলেন নদীতে খাঁচায় মাছ চাষ করা যায়। তাই তিনি আটটি খাঁচায় মাছ চাষ শুরু করেন। তাকে এ কাজে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান সানাউল্লাহ সিকদার সহযোগিতা করেন। পরে মৎস্য অধিদফতর তাকে পরামর্শ ও সহযোগিতা করেন। এখন তার খাঁচার সংখ্যা ২০টি। ৪/৫মাসের মধ্যে মাছ বিক্রি করা যায়। মাছের স্বাদ ভালো হওয়ায় এর চাহিদাও বেশি। তার খাঁচায় এখন ছোট-বড় মিলিয়ে তিন লাখ ২০ হাজার মাছ রয়েছে। মাছগুলো দ্রুত বাড়ায় তিনি ভালো লাভ পাবেন বলে আশা করেন।
মেঘনা উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা সুদীপ ভট্টাচার্য জানান, জসিম উদ্দিন মৎস্য অধিদফতরের খাঁচায় মাছ প্রদর্শনীর আওতায় মাছ চাষ করছেন। তাকে তারা সহযোগিতা ও পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন। তার দেখাদেখি অন্য চাষিরাও এ পদ্ধতিতে মাছ চাষে উদ্বুদ্ধ হচ্ছেন।