শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের ফেনীর অংশের আটটি স্থানে মানবপ্রাচীর করার ঘোষণা দেয় জেলা বিএনপি। শনিবার সকাল ১০টা থেকে তারা থাকবেন বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বাস্তবে তা দেখা যায়নি।
এ প্রসঙ্গে জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন অভিযোগ তুলে বলেন, ‘শনিবার সকাল থেকে আওয়ামী লীগের অঙ্গ-সংগঠনের নেতাকর্মীরা ওই আটটি স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুন ভাঙচুর করে এবং আগুনে পুড়িয়ে দেয়। এজন্য আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন নেতাকর্মীরা। ফলে দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে ওইসব স্থানে দাঁড়াতে পারিনি।’
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন হাজারীর অভিযোগ, ‘খালেদা জিয়ার আগমনকে ঘিরে বিএনপি নেতাকর্মীরা ফেনীকে অশান্ত করে তুলতে চায়। তাই আমাদের নেতাকর্মীরা সজাগ আছেন। গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় পাহারা বসানো হয়েছে।’
বিএনপির চেয়ারপারসনের আগমনকে ঘিরে সড়ক ও মহাসড়কে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে বলে বাংলা ট্রিবিউনকে জানান ফেনীর পুলিশ সুপার এএসএম জাহাঙ্গীর আলম সরকার। তার দাবি, যে কোনও অপ্রীতিকর পরিস্থিতি মোকাবিলায় পুলিশ প্রস্তুত আছে। তিনি বলেন, ‘খালেদা জিয়া ফেনীর সার্কিট হাউসে যাত্রা বিরতি করবেন। এজন্য সেখানেও নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।’
খালেদা জিয়ার গাড়িবহরের সঙ্গে থাকা বাংলা ট্রিবিউনের প্রতিনিধি সালমান তারেক শাকিল জানান, দুপুর আড়াইটার দিকে কুমিল্লার দাউদকান্দি অতিক্রম করেছেন তারা। কাঁচপুর পার হওয়ার পর নারায়ণগঞ্জ, মুন্সীগঞ্জ ও কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার বিভিন্ন স্থানে ব্যানার ও ফেস্টুন নিয়ে দলের চেয়ারপারসনকে শুভেচ্ছা জানান বিএনপি’র নেতাকর্মীরা।
আরও পড়ুন:
ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে খালেদাকে নেতাকর্মীদের শুভেচ্ছা