দণ্ডিত ফুলমিয়া কুমিল্লার মুরাদনগর এলাকার বাসিন্দা। তিনি নগরীর বায়েজিদ থানাধীন চন্দ্রনগর এলাকায় আস্তানা গড়ে সেখানে চিকিৎসার নামে ঝাড়ফুঁক করতেন।
বিবেকানন্দ চৌধুরী বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘আসামির বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন। ভিকটিম, মামলার বাদী, ডাক্তারসহ মোট আটজনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আজ আদালত এ রায় দেন।’ দণ্ডিত আসামি জামিনে বের হয়ে পলাতক রয়েছেন বলে জানান তিনি।
আদালত সূত্র জানায়, ২০০৮ সালের ১৭ জানুয়ারি ভিকটিমের পরিবার চিকিৎসার জন্য তাকে দণ্ডিত ফুল মিয়ার কাছে নিয়ে গেলে সে অসুস্থতা ভালো করার নামে এক পর্যায়ে ভিকটিমকে ধর্ষণ করেন। ঘটনার পাঁচ দিন পর ২২ জানুয়ারি ভিকটিমের বাবা মোজাম্মেল হক ফুল মিয়ার বিরুদ্ধে বায়েজিদ বোস্তামি থানায় মামলা দায়ের করেন। ২০০৮ সালের ৫ এপ্রিল ওই মামলায় আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা। ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি আদালত আসামির বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন। আট জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আদালত আজ এ রায় দেন।