হরতালের কারণে সকাল থেকে রাঙামাটি থেকে কোনও দূরপাল্লার যানবাহন ছেড়ে যায়নি। অভ্যন্তরীণ নৌ-রুটেও কোনও লঞ্চ বা বোট চলাচল করছে না। শহরে জনসাধারণের চলাচলের একমাত্র বাহন সিএনজি অটোরিকশা চলাচলও বন্ধ রয়েছে। শহরের বেশিরভাগ দোকানপাটও বন্ধ রয়েছে। হরতালের সমর্থনে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অবস্থান নিয়েছেন।
রাঙামাটি কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সত্যজিৎ বড়ুয়া (পিপিএম) জানান, ‘কোথায় কোনও অপ্রীতিকর ঘটনার খবর পাওয়া যায়নি। শান্তিপূর্ণভাবে হরতাল পালন করা হচ্ছে। শহরের ভেতর সিএনজি অটোরিকশা চলাচল বন্ধ রয়েছে। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি ঠেকাতে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সব সড়কে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।’
উল্লেখ্য মঙ্গলবার রাতে জেলার জুরাছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অরবিন্দ চাকমাকে হত্যা করা হয়। একই দিন বিলাইছড়ি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রাসেল মারমার ওপর সন্ত্রাসী হামলা চালানো হয়। এই দুই হামলার প্রতিবাদে জেলা যুবলীগ এই হরতালের ডাক দেয়। হত্যাকাণ্ড ও হামলার জন্য জেলা আওয়ামী লীগ আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করেছে।
আরও পড়ুন-
বৃহস্পতিবার রাঙামাটিতে হরতালের ডাক
রাঙামাটিতে আ. লীগ নেতাকে গুলি করে হত্যা