সেই এডিসি ও চিকিৎসকের মধ্যে সমঝোতা

করমর্দন করছেন সেই এডিসি ও সাবেক সিভিল সার্জনলক্ষ্মীপুরের সেই  এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম এবং সাবেক সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝির অবসান হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) স্থানীয় সার্কিট হাউজে জেলা প্রশাসন ও চিকিৎসকবৃন্দের মধ্যে বৈঠক শেষে এ সমঝোতার কথা জানানো হয়। এ সময় তারা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেন।

জানা যায়, দুপুর ১২টায় জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় চিকিৎসক নেতৃবৃন্দ সার্কিট হাউজের দোতলায় বৈঠকে বসেন। দুপুর দেড়টায় বৈঠক থেকে বের হয়ে আসেন সবাই।

কোলাকুলি করছেন এডিসি ও সাবেক সিভিল সার্জনএ সময় ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফ বলেন, ‘প্রশাসনকে সঠিকভাবে পরিচালনার জন্য এবং  জনগণের সেবা যেন বিঘ্নিত না হয়, সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে আমাদের মধ্যে যে দূরত্ব সৃষ্টি হয়েছিল আলোচনার মাধ্যমে সেগুলো নিরসন করেছি।’

ওএসডি হওয়া এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম বলেন, ‘যখন ঘটনা অতিরঞ্জিত হয়েছে তখন আমরা চিনতে পেরেছি, কিন্তু তখন বিষয়টি আমাদের কন্ট্রোলে ছিল না। যাই হোক এখন আমরা একে অপরকে চিনেছি, জেনেছি, বুঝেছি। একে অপরকে চিনতে না পারায় ঘটনাটি ঘটেছে। এখন আমরা লক্ষ্মীপুরের উন্নয়নের স্বার্থে ৪ তারিখের ঘটনা ভুলে গেছি।’

বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক হোমায়রা বেগম, পুলিশ সুপার আ স ম মাহতাব উদ্দিন, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান, সিভিল সার্জন ডা. মো. মোস্তফা খালেদ আহমদ, ডা. আশফাকুর রহমান মামুন, ডা. জাকির হোসেন ও বারের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট নুরুলহুদা প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গত ৪ ডিসেম্বর জেলা প্রশাসন কর্তৃক পরিচালিত শহরের কাকলি স্কুলের প্রবেশ পথে আগে পরে যাওয়াকে কেন্দ্র করে সাবেক ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. সালাহ উদ্দিন শরীফকে ভ্রাম্যমাণ আদালতে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরের দিন বুধবার জামিন পান সাবেক সিভিল সার্জন।

এসব ঘটনায় এডিসি শেখ মুর্শিদুল ইসলাম ও ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. নুরজ্জামানকে তলব করেন হাইকোর্ট। এ ঘটনায় এডিসিকে ওএসডি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রাণালয়ে পদায়ন করা হয়।