বেশ কিছুদিন অসুস্থ থাকার পর শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের ম্যাক্স হাসপাতালে মারা যান মহিউদ্দিন চৌধুরী। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। সকাল পৌনে ৬টার দিকে মহিউদ্দিন চৌধুরীর মরদেহ নগরীর ষোলশহর দুই নম্বর গেট এলাকায় চশমা হিলের বাসায় নেওয়া হয়। সেখানে মরদেহকে গোসল দেওয়ার পর সকাল ৯টার দিকে বাসার সামনে গাড়িতে রাখা হয়। হাজার হাজার মানুষ তাকে শেষ বারের মতো দেখার জন্য জড়ো হন।
বর্তমান মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দিন ছাড়াও মহিউদ্দিন চৌধুরীর বাসায় যান আওয়ামী লীগের সব পর্যায়ের শত শত নেতাকর্মী। এসময় মেয়র আরও বলেন, ‘মহিউদ্দিন চৌধুরী জীবন বাজি রেখে মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মম হত্যাকাণ্ডের পর প্রতিশোধ গ্রহণের জন্য প্রাণপণ লড়াই করে ইতিহাসে কিংবদন্তি হিসেবে স্থান করে নিয়েছেন। সাবেক এ মেয়র স্বৈরাচারবিরোধী গণ-আন্দোলন এবং গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে রাজপথে ছিলেন। তিনি প্রজন্ম পরম্পরায় মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস পৌঁছে দেওয়ার জন্য প্রতিবছর বিজয় মেলা আয়োজন করে ইতিহাসে বিরল অবদান রেখে গেছেন।’
প্রয়াত মহিউদ্দিন চৌধুরীর ছেলে ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল গণমাধ্যমকে জানান, শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বাদ আসর লালদিঘি মাঠে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে।
আরও পড়ুন-
‘বাসায় গেলে তিনি কাউকে না খেয়ে যেতে দিতেন না’
মহিউদ্দীন চৌধুরীর মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী ও স্পিকারের শোক