পরিবেশ বিপর্যয়ের দায়ে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা

অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানাফেনীতে কৃষি জমির মাটি কেটে ইট প্রস্তুত ও পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনার দায়ে আড়াই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এসময় একটি এক্সক্যাভেটর (ভেকু মেশিন) মেশিনও জব্দ করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) দুপুরে সদর উপজেলার জাহানপুর গ্রামে এই অভিযান পরিচালনা করে জেলা প্রশাসন।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা  বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ফেনীর সদর উপজেলার শর্শদী ইউনিয়নের জাহানপুর গ্রামের পশ্চিম পাথার ও দড়িপাট্টা জমিতে গিয়ে দেখা যায় একের পর এক গর্ত। কৃষি জমির মাটি কেটে এ গর্তগুলো করা হয়েছে। তৈরি করা হয়েছে জমি থেকে রাস্তা পর্যন্ত ট্রাক যাওয়ার প্যাসেজ। ফলে জমিগুলো স্থায়ীভাবে হারিয়ে ফেলছে উর্বরতা। মাটি কাটা জমির কারণে পাশের কৃষি জমি ভয়ানকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রাস্তা দিয়ে মাটি ভর্তি ট্রাকের চলাচলে গ্রামীণ রাস্তা ভেঙে পড়ছে। পরিবেশ মারাত্মক বিপর্যয়ের সম্মুখীন। এই মাটিগুলো দিয়ে তৈরি হচ্ছে ব্রিক ফিল্ডের ইট। এ সময় ইট প্রস্তুতের জন্য কৃষি জমির মাটি ব্যবহার ও পরিবেশের ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনার অপরাধে মাটি উত্তোলনকারী আজিজুল হককে (৪৭) এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। তার কাছ মাটি কাটার কাজে ব্যবহৃত ভেকু মেশিনটিও জব্দ করা হয়।’

অভিযানে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানানির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সোহেল রানা  জানান, এছাড়া ধর্মপুরের মঠবাড়িয়ায় হাইওয়ের পাশে অবস্থিত ওপেল ব্রিকসে অভিযান পরিচালনা করা হয়। সেখানে দেখা যায়, কৃষি জমির  মাটি ব্যবহার করে ইট প্রস্তুত করছেন তারা। এছাড়াও ইটের সাইজ পরিমাপ করে প্রতিশ্রুত ১০ ইঞ্চি ১ সুতার জায়গায় প্রতি ইটে ৫ ইঞ্চি মাপে কম পাওয়া যায়। এ সময় ওপেল ব্রিক ফিল্ডের ম্যানেজার নাজমুল ইসলাম ফরহাদকে দেড় লাখ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। বুধবার (১৭ জানুয়ারি) ওপেল ব্রিক ফিল্ডেই ১৩ ট্রাক মাটি এখানে সরবরাহ করেছেন আজিজুল হক।