জেলা প্রশাসক বলেন, ‘বাসে থাকা ৫৬ শিক্ষার্থীর মধ্যে সায়েন্স বিভাগের ২৪ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। বাকি ৩২ জনের মধ্যে ৩০ জন কমার্সের ছাত্র ও দুজন ভিন্ন স্কুলের হওয়ায় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এই ২৪ জনের মধ্যে ৯ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের মধ্যে ৭ জনের কাছে মোবাইল ও ট্যাব পাওয়া যায়। আর বাকি দুজন প্রশ্নপত্র পাওয়ার কথা স্বীকার করেছে। ওই বাসে আইডিয়াল স্কুলের পটিয়া শাখার শিক্ষক কোহিনুর আক্তার থাকায় তাকেও আটক করা হয়েছে।’
এদিকে এ ঘটনার পর পরীক্ষাকেন্দ্র পরিদর্শনে আসেন শিক্ষা বোর্ডের সচিব শওকত আলম। তিনি বলেন, ‘ফাঁস হওয়া প্রশ্নপত্র পাওয়ার ঘটনায় জড়িত থাকায় ২৪ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।’
এর আগে, পদার্থবিদ্যা বিষয়ের প্রশ্নপত্র পাওয়ায় চট্টগ্রাম আইডিয়াল স্কুলের ৫৬ শিক্ষার্থীকে নজরদারিতে রাখে প্রশাসন। মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকালে পটিয়া উপজেলা থেকে নগরীর কোতোয়ালি থানাধীন বাংলাদেশ মহিলা সমিতি স্কুলকেন্দ্রে আসার সময় তাদের আটক করে পুলিশ। তবে তাদের আজকের পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) বলেন, পরীক্ষার্থীরা চট্টগ্রাম আইডিয়াল স্কুলের পটিয়া শাখার শিক্ষার্থী। তারা শ্যামলী পরিবহনের একটি বাসে করে পরীক্ষাকেন্দ্রে আসছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আমরা জানতে পারি ওই বাসের শিক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্নপত্র আছে। পরে ওই তথ্যের ভিত্তিতে সকাল সোয়া ৯টার দিকে কোতোয়ালি থানাধীন জমিয়াতুল ফালাহ মসজিদের সামনে ওই বাসে তল্লাশি চালায় নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মোরাদ আলীর নেতৃত্বে একটি টিম। এ সময় ওই বাসে থাকা ৭/৮ জন শিক্ষার্থীর মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র পাওয়া যায়। ওই প্রশ্নপত্রের সঙ্গে পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের মিল পাওয়া যায়। শিক্ষার্থীরা হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্র ও উত্তরপত্র আদান-প্রদান করে।