সেচের আওতায় কুমিল্লার হাজার একর জমি

সেচ দেওয়া হচ্ছেকুমিল্লার সোনাইছড়ি খালে বিএডিসির সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার একর জমি সেচের আওতায় এসেছে। এতে উপকৃত হবেন দুই হাজারের বেশি কৃষক।

সূত্র জানায়, কুমিল্লা সদর উপজেলার সোনাইছড়ি খালটি কটক বাজার গোমতী নদীর পয়েন্ট থেকে শুরু হয়েছে। ১৯৬৩ সালে প্রকল্পের শুরুতে গোমতী নদী থেকে স্লুইস গেট দিয়ে সোনাইছড়ি খালে পানি প্রবেশ করানো হতো। সোনাইছড়ি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে আদর্শ সদর, সদর দক্ষিণ, লাকসাম এবং চৌদ্দগ্রাম উপজেলা পর্যন্ত ১৩ হাজার একর জমি বোরো মৌসুমে সেচের আওতায় ছিল। সোনাইছড়ি সেচ প্রকল্পের মাধ্যমে বোরো মৌসুমে সেচ কাজ ২০০০ সাল পর্যন্ত চালু ছিল। সোনাইছড়ি খালের তলদেশ পলি জমে উঁচু হয়ে যাওয়ায় স্লুইচ গেটের মাধ্যমে গোমতী নদী থেকে সোনাইছড়ি খালে পানি প্রবেশ করতে পারে না। এতে কেটিসিসি’র (কোতোয়ালি থানা সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ) মাধ্যমে প্রতি বছর সোনাইছড়ি খাল সংস্কারের চেষ্টা করলেও বোরো মৌসুমে সেচের পানি আসছিল না। এতে ১৩ হাজার একর জমির প্রায় পুরোটাই অনাবাদী হয়ে পড়ে। সোনাইছড়ি খালের দুই পাড়ে কিছু কিছু অগভীর নলকূপ এবং গভীর নলকূপের মাধ্যমে বোরো মৌসুমে অল্প কিছু জমিতে সেচ দেওয়া হতো। নভেম্বর-ফেব্রুয়ারি মাসে সোনাইছড়ি খাল একেবারেই পানি শূন্য হয়ে পড়তো। মাটির নিচের পানি উত্তোলন করায় প্রাকৃতিক ভারসাম্যও নষ্ট হচ্ছিল।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, সোনাইছড়ি প্রকল্প এলাকাটি বোরো ধানসহ বিভিন্ন শাক-সবজি উৎপাদনের জন্য সম্ভাবনাময় এলাকা।

কুমিল্লা সদর উপজেলার কটক বাজার এলাকার কৃষক মমতাজ উদ্দিন বলেন, আমাদের এলাকায় পানির অভাবে ফসল করা যাচ্ছিলো না। বিএডিসি সেচ প্রকল্পের কারণে গত দুই বছর ধরে ধান চাষ করতে পারছি।

কুমিল্লা সেচ সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মুহাম্মদ বদরুল আলম জানান, গোমতী নদীর কটকবাজার পয়েন্টে ভাসমান পাম্প স্থাপন করে গোমতী নদী থেকে সোনাইছড়ি খালে পানি উত্তোলন করে সেচ কাজের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে প্রায় ১১ কিলোমিটার খালে ভাসমান পাম্পের দ্বারা পানি উত্তোলনের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এতে ৯৫০ একর জমিতে সেচ দেওয়া সম্ভব হচ্ছে। প্রকল্পটি বড় করা গেলে আট হাজার একর জমি সেচের আওতায় আনা যাবে।