নিহত ইব্রাহিম মাঝি একই এলাকার প্রয়াত ছেরাজ কামালের ছেলে।
র্যাবের বরাত দিয়ে নোয়াখালীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম জহিরুল ইসলাম জানান, বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত আড়াইটা থেকে র্যাব-৭ এর একটি দল সন্দ্বীপের সীমান্তবর্তী চরএলাহী ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালায়। এ সময় চরআমজাদে তাদের সঙ্গে জলদস্যু ইব্রাহিম মাঝি ও তার সহযোগীদের গোলাগুলি হয়। এতে ঘটনাস্থলে ইব্রাহিম নিহত হন। মরদেহ কোম্পানীগঞ্জ থানায় আনা হচ্ছে। নিহত ইব্রাহিম মাঝির বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে।
র্যাব-৭ সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মিমতানুর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনাস্থল থেকে ১৩টি অস্ত্র ও বিপুল পরিমাণ গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।
নিহত ইব্রাহিম মাঝি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ২০১৪, ২০১৫ ও ২০১৭ সালের তালিকাভুক্ত শীর্ষ জলদস্যু বলে জানিয়েছে র্যাব।
মিমতানুর রহমান বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘চরাঞ্চলে কৃষকদের গরু-মহিষ ডাকাতি করে নিয়ে যাচ্ছে এমন খবর পেয়ে র্যাবের একটি টহল টিম উরিরচরের দুর্গম ‘চরএলাহী’ এলাকায় অভিযানে যায়। এ সময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ইব্রাহিম মাঝিসহ তার দলের সদস্যরা র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। আত্মরক্ষার্থে র্যাবও পাল্টা গুলি ছোড়ে। দুই পক্ষের গোলাগুলিতে ইব্রাহিম মাঝি নিহত হন। তার নামে চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার বিভিন্ন থানায় খুন, ডাকাতি, দস্যুতা, অপহরণ ও চাঁদাবাজির অভিযোগে ৯টির অধিক মামলা রয়েছে।’