নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধূমে পাহাড় ধস: ঘটনাস্থল পরিদর্শনে পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

বান্দরবানের ঘুমধুমে পাহাড় ধসের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করছেন পার্বত্য প্রতিমন্ত্রী

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির ঘুমধুম ইউনিয়নের পাহার ধসে হতাহতের  ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং। বুধবার দুপু‌র ১২টার দিকে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। এসময় তিনি নিহত এবং আহতদের পরিবারের সদস্যদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থ সহায়তা দেন। এছাড়াও মন্ত্রণালয় থেকে প্রত্যেককে আরও ২৫ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

অন্যদিকে বান্দরবান জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নিহতদের পরিবারের সদস্যদের ২৫ হাজার টাকা ও আহতদের পরিবারকে ১৫ হাজার টাকা করে আর্থিক সহায়তা দেন।

পরিদর্শন শেষে বেলা ১১টায় মনজয়পাড়া গ্রামে স্থানীয় লোকজনকে নিয়ে সচেতনতামূলক মতবিনিময় সভায় মিলিত হন। এসময় উপস্থিত ছিলেন বান্দরবান জেলা প্রশাসক ‌মো. আসলাম হোসেন, পুলিশ সুপার জাকির হোসেন মজুমদার, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার কামরুজ্জামান, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষীপদ দাশ, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ, জেলা আওয়ামী লীগ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা পরিষদ সদস্য মোজাম্মেল হক বাহাদুর, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার এসএম সরওয়ার কামাল প্রমুখ।

উল্লেখ্য সোমবার বেলা সাড়ে ১১টায় ঘুমধুম ইউনিয়নের মনজয়পাড়া এলাকায় পাহাড় কাটার সময় মাটি চাপা পড়ে পাঁচ শ্রমিক নিখোঁজ হন। পরে স্থানীয়রা নুর মোহাম্মদ (২৫) নামে একজনকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজারে চিকিৎসার জন্য পাঠিয়ে দেন। ঘটনার সাত ঘণ্টা পর সন্ধ্যায় নুরুল হাকিমকে জীবিত উদ্ধার করতে সক্ষম হয় পুলিশ, বিজিবি ও দমকলবাহিনীর সদস্যরা। দীর্ঘ উদ্ধার তৎপরতা শেষে রাত সাড়ে আটটায় বাকি তিন শ্রমিক, মো. আবু (৩০), সোনা মেহের (৩৫) ও জসীম উদ্দিনের (২৫) লাশ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয় সুপায়েন বড়ুয়ার পরিবার অবৈধভাবে দখল করে পাহাড়টি কাটছিল। এই ঘটনায় প্রজেক্ট মালিক রাজেন্দ্র বড়ুয়ার ছেলে সুপায়েন বড়ুয়াসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।

ঘুমধুম ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ প্রধান ছৈয়দ আলম বাদী হয়ে মঙ্গলবার নাইক্ষ্যংছড়ি থানায় ভূমি ইমারত আইনের মামলাটি  দায়ের করেন। মামলার বাকি তিন আসামি হলেন, সুপায়েন বড়ুয়ার ভাই রিটন বড়ুয়া, ভুট্টো বড়ুয়া ও প্রতিয়া বড়ুয়া। তবে এ পর্যন্ত তাদের কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।

নাইক্ষ্যংছড়ি থানার ওসি শেখ আলমগীর বলেন, ‘মাটিচাপায় তিন শ্রমিক নিহতের ঘটনায় মামলা হয়েছে। আসামিরা ঘরে তালা দিয়ে পালিয়েছে। তাদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।