রাঙামাটিতে ভারি বর্ষণ, ২১টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছে প্রশাসন

প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা পাহাড়ে ঝুকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের সরিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছে

রাঙামাটিতে রবিবার সকাল থেকে ভারি বর্ষণ আর ঝড়ো হাওয়ার কারণে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের বেশ কয়েকটি স্থানে বৈদ্যুতিক খুঁটি ও গাছ ভেঙে পড়েছে। পরে প্রশাসন ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে তা সরিয়ে নেয়। সকাল থেকে ভারি বর্ষণ না থাকলেও লোকজনের মাঝে আতঙ্ক কাটেনি।

ভারি বর্ষণের কারণে রাঙামাটি শহরের চম্পকনগর, শিমুলতলী ও  রূপনগরসহ বেশ কয়েকটি স্থানে মাটি ধসে পড়েছে। তবে এতে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

জেলাপ্রশাসনের তথ্যমতে পৌর এলাকায় ৬০৯টি পরিবার এবং জেলায় ৩৩৭৮টি পরিবার পাহাড়ের ঝুঁকিতে বসবাস করছে।

রাঙামাটি জেলা প্রশাসক এ কে এম মামুনুর রশিদ জানান, ঝুঁকিতে বসবাসরত এসব লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বারবার মাইকিং করা হচ্ছে। এরইমধ্যে জেলা প্রশাসনের কাছে ত্রিশটি তাবু এসেছে, এসব তাবুর কিছু রূপনগরে টাঙানোর কাজ চলছে। সেনাবাহিনী, স্কাউট ও রেড ক্রিসেন্টের সদস্যরা এসব তাবু টাঙানোর কাজ করছে। যারা ঝুঁকিতে বসবাস করছে তারা যেন দ্রুত সময়ের মধ্যে এসব তাবুতে আশ্রয় নেয়। এছাড়াও শহরে ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রশাসনের বিভিন্ন টিম ঝুঁকি মোকাবেলায় কাজ করছে।

জেলাপ্রশাসক ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তারা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং লোকজনদের নিরাপদ স্থানে চলে আসার পরামর্শ দেন। এছাড়া জেলাপ্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ সার্বক্ষনিক ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় দায়িত্ব পালন করছেন।

সকাল থেকে ভারি বর্ষন না থাকলেও থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। জনগনের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসন প্রস্তুত রয়েছে বলে জানান জেলাপ্রশাসক।