চট্টগ্রামে সুমন হত্যায় ১০ সন্দেহভাজন গ্রেফতার, ২ জনের স্বীকারোক্তি

মোহাম্মদ সুমন (১৭) নামের এক কিশোরেকে হত্যার ঘটনায় ১০ জনকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম নগর গোয়েন্দা পুলিশ। মঙ্গলবার (১৯ জুন) নগরীর হালিশহর এলাকায় রাতভর অভিযান চালিয়ে সন্দেহভাজনদের গ্রেফতার করা হয়। নগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (বন্দর) এএএম হুমায়ুন কবির জানিয়েছেন, গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে দুইজন ওই ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। পুলিশ তাদের কাছ থেকে ছিনতাই করা দুইটি মোবাইল ফোন ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত একটি ছোরা উদ্ধার করেছে।চট্টগ্রাম

গত ১৭ জুন বিজিবি সিনেমা হলে শো দেখে বাসায় ফেরার পথে রাত সোয়া ৯টার দিকে হালিশহর থানাধীন আর্টিলারি ব্রিজ এলাকায় ছিনতাইকারীরা সুমন ও তার দুই বন্ধুকে জোরপূর্বক রাস্তার এক পাশে টেনে নিয়ে যায়। সেখানে তারা মোবাইল ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। এ সময় ভুক্তভোগীরা তাদের বাধা দিলে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠে ছিনতাইকারীরা। তারা সুমন ও তার বন্ধু নুরুল আলমের দুই পায়ের রানে ছুরিকাঘাত করে মোবাইল সেট ও টাকা-পয়সা কেড়ে নেয়। আহতদের পরে উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সুমন মারা যান। নুরুল আলম এখনও হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

সুমনকে হত্যার দায়ে গ্রফতারকৃত সন্দেহভাজনদের মধ্যে রয়েছে: মো. আল আমিন (১৬), মো. ফজলে রাব্বি (১৬), মোঃ আরমান (১৬), মোঃ মোস্তফা রবিন (১৮), মোহাম্মদ জনি (১৫), মোঃ ফাহিম (১৮), মোঃ রাহাত মোমেন (১৫), মোঃ কামরুল হাসান (১৬),  মোঃ ফয়সাল (১৭) ও মোঃ মিজান (১৭)। গ্রেফতারকৃতদের গ্রামের বাড়ি কুমিল্লা, কিশোরগঞ্জ, নোয়াখালী, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ বিভিন্ন জেলায় হলেও বর্তমানে তারা সবাই নগরীর হালিশহর এলাকায় বসবাস করে।

এএএম হুমায়ুন কবির বাংলা ট্রিবিউনকে বলেছেন, ‘আসামিরা হালিশহর এলাকায় গ্যাং আকারে সংঘবদ্ধ হয়ে দীর্ঘদিন এলাকায় প্রভাব বিস্তারসহ ছিনতাই করে আসছে। গত ১৭ জুন রাতে তারা সুমন ও তার এক বন্ধুকে ছুরিকাঘাত করে তাদের মোবাইল সেট ও টাকায়-পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। আমরা মঙ্গলবার রাতভর অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করেছি। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আমরা জানতে পেরেছি, ওই দিন আসামিদের মধ্যে দুইজন সুমন ও তার বন্ধু নুরুল আলমকে ছুরিকাঘাত করেছে।’