টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (তদন্ত) আতিকুল ইসলাম বলেন, ‘রোহিঙ্গা শিবিরে গোলাগুলির খবর পেয়ে রাতে সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। অপরাধীদের ধরতে পুলিশ অভিযানে নেমেছে। কারা এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।’
রোহিঙ্গারা জানায়, বৃহস্পতিবার বিকাল থেকে রোহিঙ্গাদের একটি গ্রুপ অস্ত্র নিয়ে রোহিঙ্গা শিবিরের পাহাড়ের তীরে অবস্থান করে। রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের আসা যাওয়া বাড়তে থাকে। পরে হঠাৎ করে রাত ১০টার দিকে লেদা রোহিঙ্গা শিবিরের বি বল্কের মেম্বার নুরুল বশরকে অস্ত্র মুখে জিম্মি করে। এসময় তার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা গুলি বর্ষণ করে। পরে তারা পাহাড়ের দিকে ছিটকে পড়ে। খবর পেয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একটি দল সেখানে অভিযানে নেমেছে।
রোহিঙ্গা নেতা লেদার অনিবন্ধিত রোহিঙ্গা শিবিরের বি বল্কের মেম্বার। তিনি গত ২২ বছর আগে মিয়ানমার থেকে পালিয়ে এসে সেখানে আশ্রয় নেন।
নুরুল বশর বলেন, ‘রঙ্গিখালীর নাগু, আবুল কালামসহ একটি ডাকাত দল রোহিঙ্গা শিবিরে আমাকে জিম্মি করে। আমি চিৎকার দিলে লোকজন এগিয়ে আসলে তারা গুলি বর্ষণ করে পালিয়ে যায়। এ ডকাত দল দীর্ঘ দিন ধরে রোহিঙ্গা শিবিরের লোকজনকে অস্ত্রমুখে জিম্মি করে সহায়-সম্বল লুট করে নিয়ে যাচ্ছে।’