খুলশী খানার ওসি নাছির উদ্দিন এ তথ্য জানিয়েছেন। কেউ হত্যা করে মরদেহ পানির ট্যাংকে ফেলে দিতে পারে বলে তিনি জানান।
নিহতরা হলেন, মনোয়ারা বেগম (৯৫) ও তার মেয়ে মেহেরুন্নেসা বেগম (৬৭)। তাদের বাড়ি চাঁদপুর থানার মতলব থানার নাইয়ের গাঁও গ্রামে। তারা দীর্ঘদিন ধরে আটার মিল এলাকায় বসবাস করছেন।
তিনি আরও বলেন, যে ভবনের পানির ট্যাংকে তাদের লাশ পাওয়া গেছে সেটি তাদের নিজেদেরই বাসা। পাঁচতলা বিশিষ্ট ওই ভবনের নিচতলার কাজ শেষ হওয়ার পর তারা সেখানে থাকতেন। তবে পরিবারের কোনও পুরুষ সদস্য ঘটনার দিন বাসায় ছিলেন না।
প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, মেজেরুন্নেসা বেগম বিয়ে করেননি। তিনি রুপালী ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার হিসেবে অবসর নেন।
অন্যদিকে মনোয়ারা বেগমের চার ছেলে ও পাঁচ মেয়ে। বড় দুই ছেলে মারা গেছে। অপর দুই ছেলের একজন আমেরিকা ও অন্যজন ঢাকায় থাকেন। মেয়েদের মধ্যে বড় মেয়ে ময়মনসিংহ, মেঝো মেয়ে চট্টগ্রামের ফৌজদারহাট, সেজো মেয়ে মেহেরুন্নেসা ও চতুর্থ মেয়ে আমেরিকায় এবং পঞ্চম মেয়ে আয়ারল্যাণ্ডে থাকে।
মনোয়ারা বেগমের আরেক নাতি বেলাল উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘ শনিবার সকালে আমার মা নানিকে দেখতে এসেছেন। দুপুরে খাবার খেয়ে তারপর তিনি বাসায় যান। রবিবার সকালে মামা আমেরিকা থেকে বারবার কল করার পরও মোবাইল রিসিভ না করায় বাসায় আমাদের কল দিলে আমরা সকাল ১০টায় বাসায় এসে দরজা বন্ধ পাই। পরে দরজা ভেঙ্গে বাসায় প্রবেশ করলে কাপড়-চোপড় অগোচালো দেখতে পাই। এরপর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে রির্জাভারে লাশ দেখতে পায়।’
বেলাল উদ্দিন আরও বলেন, ‘জায়গা নিয়ে বিরোধ ছিল জানিয়ে খালা (মেহেরুন্নেসা) আমাকে জায়গাটা বিক্রি করে দিতে বলেছিল। কিন্তু তার কাদের সঙ্গে বিরোধ ছিল সেটি খালা আমাকে বলেননি।’