রাঙামাটিতে বেড়েছে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ

রাঙামাটিরাঙামাটি শহর এলাকায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বেড়েছে। গত কয়েক মাসে রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে বেড়েছে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। এতে কিছুটা আতঙ্কিত শহর এলাকার মানুষেরা। তবে এ নিয়ে আতঙ্কের কিছু নেই বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য বিভাগ।

রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালের গত কয়েক মাসের তথ্য অনুযায়ী এপ্রিল মাসে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয় চার জন। যা মে মাসে দাড়ায় ১৫ জনে। জুন মাসে এর সংখ্যা বেড়ে গিয়ে ২৩ জন এবং জুলাই মাসে ২০ তারিখ পর্যন্ত এর সংখ্যা ছিল ২২ জন। আবার অনেকে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি আছেন। তাদের মধ্যে অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত কি না তাদের রক্তের নুমনা নিয়ে পরীক্ষা করা হচ্ছে বলা জানা যায়।

রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত চন্দ্র শেখর চাকমা জানান, ‘গত কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার পর রক্ত পরীক্ষার পর জানা যায় ডেঙ্গু হয়েছে। ডাক্তার বলেছে কয়েকদিন বিশ্রাম নিতে।’

রাঙামাটি সদর জেনারেল হাসপাতালে ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত আকরাম হোসেন জানান, ‘কয়েকদিন ধরে জ্বরে আক্রান্ত থাকার পর হাসপাতালে ভর্তি হই। পরে রক্ত পরীক্ষা করে জানা যায় ডেঙ্গু জ্বর হয়েছে।  কী অবস্থায় আছি সেটা ডাক্তার আসলে বোঝা যাবে।’

রাঙামাটি পৌরসভার মেয়র আকবর হোসেন চৌধুরী জানান, ‘গত কয়েক মাস ধরে পৌর এলাকায় সিভিল সার্জনসহ আমরা ডেঙ্গু মশা নিধনের জন্য কাজ করে যাচ্ছি। ইতোমধ্যে কিছু এলাকায় মশা নিধনের জন্য স্প্রে করা হয়েছে। বাকি এলাকাগুলোতেও মশা নিধনের জন্য স্প্রে করা হবে। পাশাপাশি পৌর এলাকার বাসিন্দারের তাদের নিজ নিজ এলাকা পরিস্কার রাখার জন্য প্রচারণা চালানো হবে।’

রাঙামাটির সিভিল সার্জন ডা. শহীদ তালুকদার জানান, ‘ডেঙ্গু রোগের প্রকোপ দেখা যাওয়ার পর থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতরের একটি বিশেষজ্ঞ টিম রাঙামাটি এসে বিভিন্ন এলাকা থেকে রক্তের নমুনা নিয়ে পরীক্ষা করে রির্পোট দিয়েছে। সেই হিসেবে পৌর এলাকায় চিকনগুনিয়া এবং ডেঙ্গু রোগের লক্ষণ পাওয়া যায়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ডেঙ্গু জ্বর প্রতিরোধের মূল মন্ত্রই হলো এডিস মশার বিস্তার রোধ এবং এই মশা যেন কামড়াতে না পারে তার ব্যবস্থা করা। মশা নিধনের স্প্রে, কয়েল, ম্যাট ব্যবহারের ক্ষেত্রে সবাইকে সচেতন হতে হবে।’