কুমিল্লায় সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় প্রতিপক্ষের একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ

কুমিল্লা

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই গ্রামে সংঘর্ষে দুইজন নিহতের ঘটনায় রমিজ উদ্দিন (৫০) নামে প্রতিপক্ষের একজনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তবে পুলিশের ধারণা হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে রমিজ উদ্দিন মারা গেছেন। পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে বুধবার ময়নাতদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

নিহত রমিজ উদ্দিন (৫০) দক্ষিণ সিদলাই গ্রামের মঞ্জুর আলীর ছেলে। তিনি খোরশেদ ও সানু মিয়ার হত্যা মামলার আসামি ছিলেন।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার সিদলাই গ্রামের মফিজ মিয়ার ও যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী সামসু মিয়ার লোকজনের মধ্যে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দীর্ঘ দিন ধরে বিরোধ চলে আসছে। গত বছরের ৯ ফেব্রুয়ারি মফিজ মিয়া ও সামসু মিয়ার দলের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এতে মফিজ মিয়া নিহত হয়েছিলেন। ওই দিন থেকে সামসু মিয়ার লোকজন এলাকা থেকে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন। সামসু মিয়া যুক্তরাষ্ট্রে থাকলেও তাদের নেতৃত্ব দেন তার জামাতা মফিজুল ইসলাম ও একই গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য অহিদ মিয়া।

গত ৮ সেপ্টেম্বর ভোর রাতে সামসু মিয়ার লোকজন বিভিন্ন এলাকার লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে মফিজ মিয়ার বাড়িতে আক্রমণ করে। এসময় মফিজ মিয়ার লোকজনও পাল্টা আক্রমণ করেন। এতে সামসু মিয়ার লোক খোরশেদ আলম এবং চা দোকানদার সানু মিয়া মারা যান। দুটি খুনের ঘটনায় থানায় দুটি হত্যা মামলা হয়েছে।

এই ব্যাপারে নিহত রমিজ উদ্দিনের স্ত্রী ঝরনা আক্তার জানান, প্রতিপক্ষের হামলার ভয়ে রাত জেগে বাড়ি পাহারা দেন রমিজ উদ্দিন। বুধবার ভোরে সামসু মিয়া সমর্থিত লোকজন তাকে পিটিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই রমিজ উদ্দিন মারা গেছেন।

ব্রাহ্মণপাড়া থানার ওসি সৈয়দ আবু মো.শাহজাহান কবির জানান, দুই পক্ষের সংঘর্ষে এর আগেও দুইজন নিহত হয়েছেন। দুটি হত্যা মামলা হয়েছে। রমিজ উদ্দিনও হত্যা মামলার আসামি ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তিনি হৃদক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা গেছেন। ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়না তদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।