বায়েক ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আল মামুন ভূঁইয়া জানান, শুক্রবার বিকালে বিএসএফ দলবদ্ধ হয়ে গুলিবর্ষণ করে। শনিবার দুই দেশের সীমান্তরক্ষীদের পতাকা বৈঠকে বিষয়টি সুরাহা হয়েছে। আব্দুল খালেককে অক্ষত অবস্থায় ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
কসবা উপজেলা নির্বাহী অফিসার হাসিনা ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান,বিষয়টি তিনি জেলা ম্যাজিস্ট্রেটকে অবহিত করেছেন। এলাকা এখন শান্ত রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বায়েক ইউনিয়নের দক্ষিণ মাদলা সীমান্তে শুক্রবার বিকালে অতর্কিত হানা দেয় বিএসএফ। বর্ডার এলাকায় গরু নিয়ে বাংলাদেশিদের সঙ্গে বিএসএফ’র বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে বিএসএফ দল বেঁধে ভেতরে প্রবেশ করে এলোপাতাড়ি শর্টগানের গুলি ছোড়ে। এতে শাহজাহান মিয়া, ফারুক মিয়া, নান্নু মিয়া ও রাসেল মিয়া নামে চার জন গ্রামবাসী আহত হন। পরে তাদেরকে উদ্ধার করে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এর মধ্যে শাহজাহান মিয়া ও ফারুক মিয়াকে কুমিল্লায় পাঠানো হয়। এর আগে শুক্রবার বিকালে আব্দুল খালেক নামে এক বৃদ্ধকে অপহরণ করে নিয়ে যায় বিএসএফ। এ নিয়ে সীমান্তে উত্তেজনা দেখা দেয়।
শনিবার দুপুরে মাদলা সীমান্ত এলাকায় এ নিয়ে বিজিবি ও বিএসএফ’ মধ্যে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বিএসএফ তাদের ভুল স্বীকার করে ও অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া আব্দুল খালেককে ফেরত দেয়। এসময় বিএসএফ’র ফেলে যাওয়া অস্ত্রটিও তাদের কাছে ফেরত দেওয়া হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৬০ ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মেজর মো. সাইফুল ইসলাম ও ভারতের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ৭৪ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার কমল কুমার।