টেকনাফ রোহিঙ্গা শিবিরে গুলি ছুড়ে ডাকাতির চেষ্টা

রোহিঙ্গা শরণার্থী ক্যাম্প (ফাইল ছবি)

কক্সবাজারের টেকনাফে নিবন্ধিত নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে গুলি ছুড়ে ডাকাতির চেষ্টা করা হয়েছে। শনিবার সকালে হ্নীলা ইউনিয়নের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের (বিকাশ মোড়) বি-ব্লকে এ ঘটনা ঘটে। ডাকাতদের হামলায় ওই শিবিরের বি-ব্লকের বাসিন্দা দোকানদার আবু বক্কর ও তার ছেলে মোহম্মদ ইউছুপ আহত হয়েছেন। এ তথ্য জানিয়েছেন টেকনাফ নিবন্ধিত নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের পুলিশ চৌকির ইনচার্জ (এসআই) আবু রেদোয়ান।

এ ঘটনায় হামলাকারী সন্দেহ দু’জনকে আটক করা হয়েছে। তারা হলেন, আবুল কালাম মাঝি ও আনোয়ার সাদেক। তারা একই শিবিরের ই-ব্লকের ১ নম্বর ঘরের বাসিন্দা।

রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরের পুলিশ চৌকির ইনচার্জ (এসআই) আবু রেদোয়ান জানান, ‘শনিবার ভোরে নয়াপাড়া শরণার্থী শিবিরে বি-ব্লকের বিকাশ মোড়ে গুলির শব্দ শুনে, তার নেতৃত্বে একদল পুলিশ সেখানে যায়। এসময় একদল ডাকাত গুলি করতে করতে পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। স্থানীয়দের সহযোগিতায় দু’জনকে আটক করা হয়। আটককৃতদের থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। ডাকাত দলের বাকি সদস্যদের ধরতে পুলিশের যৌথ অভিযান চালানো হচ্ছে।’

রোহিঙ্গা নেতারা জানান,‘ডাকাতরা গুলি বর্ষণ করে একটি কাপড়ের দোকানে ডাকাতির চেষ্টায় চালায়। তারা দোকানে ঢুকে ভেতরে থাকা আবু বক্কর ও তার ছেলে মোহাম্মদ ইউছুপকে ব্যাপক মারধর করে। দোকানের সঙ্গে লাগানো তাদের ঘর থেকে পরিবারের লোকজন চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাতরা পালিয়ে যায়। এসময় তাদের ধাওয়া করে ওই দু’জনকে আটক করে পুলিশের কাছে সোর্পদ করে স্থানীয়রা। তারা ডাকাত দলের সদস্য বলে দাবি করেছেন রোহিঙ্গা নেতারা। 

হ্নীলা ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরে গুলি বর্ষণ করে ডাকাতির ঘটনার কথা শুনেছি। স্থানীয়রা দুই ডাকাতকে ধরে দিয়েছে। আমাদের পুরো এলাকা জুরে রোহিঙ্গা শিবির। আর  প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটছে। ফলে স্থানীয়রা ভয়ে রয়েছে। ’

এ প্রসঙ্গে টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রণজিত কুমার বড়ুয়া বলেন, ‘হ্নীলার নয়াপাড়া নিবন্ধিত রোহিঙ্গা শরণার্থী শিবিরে ডাকাতরা গুলি চালিয়ে দোকানে ডাকাতির চেষ্টা করে। এ ঘটনায় দুইজনকে আটক করা হয়েছে। আটককৃতরা পুলিশের হেফাজতে কক্সবাজারে চিকিৎসাধীন রয়েছে। এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।’