নিহত গৃহবধূর মা রেহেনা বেগম জানান,১৬ অক্টোবর সন্ধ্যায় তার মেয়েকে শহরের লাইফ কেয়ার শিশু জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ওইদিন রাতে তার একটি ছেলে সন্তান হয়। বৃহস্পতিবার রাতে থেকে স্বামীর সঙ্গে ফোনে দফায় দফায় ঝগড়া হয় তার মেয়ের। এ ঘটনার জেরে শুক্রবার সকাল পৌনে ৯টার দিকে লাইফ কেয়ার শিশু জেনারেল হাসপাতালের পার্শ্ববর্তী দ্য ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের ৪ তলা ভবনের ছাদ গিয়ে চারদিনের সন্তানকে নিয়ে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করে। তবে কী কারণে মেয়ে আত্মহত্যা করলো তা জানাতে পারেননি মা।
লাইফ কেয়ার হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলী এবং দ্য ল্যাব এইড স্পেশালাইজড হাসপাতালের চেয়ারম্যান মামুন নাজির জানান, এ ঘটনায় তারা বাকরুদ্ধ। তাদের ধারণা পারিবারিক কলহের জেরেই এই ঘটনা। এ ব্যাপারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্যে দাবি জানাচ্ছি। এছাড়া এক হাসপাতাল থেকে এসে অন্য হাসপাতালের ছাদে উঠে এমন ঘটনার জন্য তারা ভবন মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহর ২নং ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসমান গনি জানান,খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে। পারিবারিক কলহের জের ধরেই সন্তানসহ ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করতে পারেন বলে ধারণা করছি। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।