এদিকে আজ সকাল থেকেই প্রতিটি কেন্দ্রে ভোটারদের উপস্থিতি ছিল অনেক। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ার কথা থাকলেও তেমনটি চোখে পড়েনি।
এই কেন্দ্রের ১নং বুথে ভোট দিতে আসা খুরশিদ আলম বলেন, আমার ভোটার নং ১৬১ বলার পরেও ভোটের লাইন থেকে আমাকে বাড়িতে ফেরত পাঠানো হয়েছে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে আসার জন্য। আমি বাড়িতে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র আনার পর আমাকে ভোট দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
আরেক ভোটার রতন মিয়া জানান, তিনিও ভোট দিতে এসে আবারও বাড়িতে ফেরত গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এসে ভোট দিয়েছেন।
তারা জানান, তাদের এলাকার অনেকেই জাতীয় পরিচয়পত্র হারিয়ে ফেলার কারণে ও নষ্ট হয়ে যাওয়ায় ভোট দিতে পারেননি। আবার কেউ কেউ বাড়িতে গিয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিয়ে এসে ভোট দিতে পেরেছেন। এটা এক ধরনের হয়রানি বলে ভোটাররা আখ্যায়িত করেছেন।
এদিকে এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ সামসুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, এটাই নিয়ম। এর বাইরে তিনি আর কোনও কথা বলতে রাজি হননি।
এ ব্যাপারে কথা হয় এই কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার মঈনুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘আমরা এমনভাবে কাউকে ফেরত যেতে বলেনি। তবে ছবির সঙ্গে মিল রেখে শান্তিপূর্ণভাবে ভোট দিতে পারছেন সবাই।’
এ ব্যাপারে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক হায়াত-উদ-দৌলা খান বলেন, ‘ভোটার আইডি কার্ড বাধ্যতামূলক নয়। এটা না বুঝে করে থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি ঘটনাটি জানার পর তাৎক্ষণিক এই সমস্যার সমাধান করে দিয়েছি। স্বাভাবিক নিয়মেই ভোটগ্রহণ চলছে।’
উল্লেখ্য, আশুগঞ্জ উপজেলার বাহাদুরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, যাত্রাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও সোহাগপুর দক্ষিণ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ৩০ ডিসেম্বর নানা অনিয়মের কারণে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়। পরে আজ সকাল পুনরায় এসব কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ শুরু হয়।