গত ৪ জানুয়ারি বাঘাইছড়ির বাবুপাড়ায় প্রভাত কুসুম চাকমার বাড়িতে জনসংহতি সমিতি (এমএনলারমা) দলের সদস্য বসু চাকমা নিহত হন। সেই ঘটনায় গত ৫ জানুয়ারি বাড়ির মালিক প্রভাত কুমার বাঘাইছড়ি থানায় উপজেলা চেয়ারম্যান বড় ঋষি চাকমাসহ জনসংহতি সমিতি ও সমিতির সহযোগী সংগঠনের বাঘাইছড়ি উপজেলা শাখার সদস্যসহ ২৭ জনের বিরুদ্ধে বাঘাইছড়ি থানায় মামলা করা হয়। আরও ৭-৮ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছিল। আগ্নেয়াস্ত্রসহ ঢুকে সন্ত্রাসীরা বসু চাকমাকে খুন করে বলে মামলা এজাহারে উল্লেখ করা হয়।
লিখিত বক্তব্যে অভিযোগ অস্বীকার করে দয়াসিন্ধু চাকমা বলেন, ‘এই ঘটনার সঙ্গে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি ও সমিতির সহযোগী সংগঠনের কোনও সদস্য বা সমর্থক জড়িত নন। জনসংহতি সমিতি এ ধরনের হত্যাকাণ্ড ও সন্ত্রাসের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। জনসংহতি সমিতি কাছে কোনও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র বা গোলাবারুদ নেই।’ জনসংহতি সমিতি ও সমিতির সহযোগী সংগঠনের সদস্যদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে গত ৮ জানুয়ারি অবরোধের এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
বাঘাইছড়ি থানার ওসি এম এ মঞ্জুর হক জানান, 'উপজেলায় সব কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়েছে। দোকান পাটখোলা, কিছু গাড়ি চলাচল করছে, যাত্রি কম থাকায় উপজেলা থেকে রাঙামাটির জেলা সদরের উদ্দেশে কোনও লঞ্চ ছেড়ে যায়নি। বিজিবি টহল ও পুলিশ টহল হয়েছে যাতে জনসাধারণ নিরাপদে চলাচল করতে পারে।'