বাড়ি ফিরে গেলেন সুবর্ণচরের নির্যাতিত গৃহবধূ

নোয়াখালী১৭ দিন নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকার পর সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন সুবর্ণচরে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ ও নির্যাতনের শিকার সেই গৃহবধূ। তিনি বৃহস্পতিবার বিকাল ৩টার দিকে বাড়ি পৌঁছান বলে নিশ্চিত করেছেন তার স্বামী সিরাজুল ইসলাম সিরাজ। তিনি জানান, সে ঠিকমতো বাড়ি এসে পৌঁছেছে।

জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল খায়ের বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার গৃহবধূকে তার বাড়ি চরজুবলি ইউনিয়নের চরমধ্যবাগরা গ্রামে পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসক সৈয়দ মহিউদ্দন আব্দুল আজিম জানান, মেডিক্যাল বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তাকে হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হয়েছে। তিনি মানসিকভাবে ভালো ও সুস্থ আছেন। তার হাত ভেঙে গেছে। এ কারণে তাকে ২ ফেব্রুয়ারি আসতে বলা হয়েছে। তবে এরমধ্যে কোনও সমস্যা দেখা দিলে তাকে দেখিয়ে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত ৩০ ডিসেম্বর ভোটের দিন পাংখারবাজার ১৪নং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে ধানের শীষে ভোট দিতে দেখে ওই নারীকে হুমকি দেয় সন্ত্রাসীরা। পরে সেদিন রাত ১২টায় কয়েকজন লোক পুলিশ পরিচয় দিয়ে তার বাড়িতে গিয়ে ঘরের দরজা খুলতে বলে। এরপর ১৫/১৬ জন সন্ত্রাসী ঘরে ঢুকে ধানের শীষে ভোট দেওয়ায় ওই নারী ও তার স্বামীকে গালাগালি করে। এরপর অস্ত্র দেখিয়ে ওই নারীকে ঘরের বাইরে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে ধর্ষণ ও বেদম মারধর করে দুর্বৃত্তরা। একপর্যায়ে ওই নারীকে গলা কেটে হত্যারও চেষ্টা করে তারা। সন্ত্রাসীরা চলে যাওয়ার পর পরের দিন প্রতিবেশীদের সহায়তায় ওই নারীকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ৩১ ডিসেম্বর রাতে ৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ওই নারীর স্বামী।

ডাক্তারি পরীক্ষায় ওই নারীকে ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে বলে জানান নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. মো. খলিল উল্যা।