বৌভাত থেকে নববধূকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা, গণপিটুনিতে আহত ৭

 

গণপিটুনির পর সাত জনকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলায় একটি বৌভাত অনুষ্ঠানে হামলা চালিয়ে নববধূকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে সন্ত্রাসীরা। ওই সময় হামলাকারী সন্দেহে সাতজনকে আটকের পর গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয়রা। সন্ত্রাসীদের হামলায় আহত হয়েছে অন্তত ২৫ জন। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) উপজেলার সাহারপাড় গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দেবিদ্বার উপজেলার সূর্যপুর গ্রামের জাকির ফরাজীর মেয়ে ফাতেমা আক্তারের (১৯) সাথে গত ১ ফেব্রুয়ারি একই উপজেলার সাহারপাড় গ্রামের মো. ইউনুছের ছেলে ছিদ্দিকুর রহমানের (২৫) বিয়ে হয়। শুক্রবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বরের বাড়িতে বৌভাত অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। দুপুর আড়াইটার দিকে ওই অনুষ্ঠানে অতর্কিত হামলা চালায় ২৫/৩০ জনের একদল বখাটে। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিতদের মারধর করে কনেকে তুলে নেওয়ার চেষ্টা চালায়। এসময় অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিসহ স্থানীয়রা তাদের ঘিরে ফেলে গণপিটুনি দিয়ে একটি কক্ষে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়। আহতদের দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পুলিশ পাহারায় চিকিৎসা দেয়া হয়।   কনের কলেজের সহপাঠী ইসমাইল হোসেনের নেতৃত্বে  অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে অনুষ্ঠানের লোকজনদের মারধর করে কণেকে তুলে নেয়ার চেষ্টা চালায়।

পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া সাতজন হলেন কোতয়ালী থানার জাগরতলি গ্রামের জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে আলী হোসেন (২১), বুড়িচং উপজেলার কোরপাই গ্রামের মরণ পালের ছেলে সজিব পাল (১৯), চান্দিনা উপজেলার এদবারপুর গ্রামের মিজানুর রহমানের ছেলে বাছির আহমেদ (২২), চান্দিনা উপজেলার মহরম গ্রামের জয়নাল আবেদীনের ছেলে নাহিদুল ইসলাম (২২), বুড়িচং উপজেলার নামতলা গ্রামের সুজাত আলীর ছেলে মোহাম্মদ জাফর (২০), চান্দিনা উপজেলার জাফরাবাদ গ্রামের আব্দুল আউয়ারর ছেলে মেহেদী হাসান (২১), দেবিদ্বার উপজেলার সূরপুর গ্রামের মৃত: বাদশা মিয়ার ছেলে মোঃ আলম (২২) ।

দেবিদ্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ জহিরুল আনোয়ার জানান, জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানিয়েছে, জুনাব আলী ডিগ্রী কলেজ শাখার ছাত্রলীগের সভাপতি ইসমাইল ও অপর ছাত্রলীগ নেতা সাকিব তাদের সাংগঠনিক বৈঠকের কথা বলে সাতটি মাইক্রোবাসযোগে সাহারপাড় গ্রামে নিয়ে আসে। স্থানীয়রা ঘিরে ফেললে ইসমাইল ও সাকিব পালিয়ে যায় বলেও দাবি করেছে তারা।