শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলায় বন্যহাতির আক্রমণে আজিজুর রহমান আকাশ (৩৮) ও এফিলিস হাগিদক (৫২) নামে দুজনের মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাত ৯টা থেকে সাড়ে ১০টার মধ্যে উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী দরবেশতলা ও গজনী এলাকায় ওই দুজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বন বিভাগের রাংটিয়া রেঞ্জ কর্মকর্তা মো. আব্দুল করিম।
নিহত আকাশ উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের গান্ধিগাঁও গ্রামের আব্দুল হাকিমের ছেলে। তিনি পেশায় একজন ভ্যানচালক। অপরদিকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক এফিলিস হাগিদক গজনী এলাকার সহেন সিমসাংয়ের ছেলে।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ২০-৩০টি বন্যহাতি দলবেঁধে উপজেলার সীমান্তবর্তী দরবেশতলা এলাকায় নেমে আসে। এ সময় এলাকার মানুষ জানমাল রক্ষায় হাতি তাড়াতে লাঠি নিয়ে ধাওয়া করেন। এ সময় আকাশ হাতির খুব কাছাকাছি চলে গেলে একটি হাতি তাকে ধাওয়া দিয়ে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে পায়ে পিষ্ট করে। এ সময় স্থানীয় লোকজন গুরুতর আহত অবস্থায় আকাশকে উদ্ধার করে ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে রাত সাড়ে ১০টার দিকে চালক এফিলিস হাগিদক অটোরিকশা চালানো শেষে স্থানীয় আরও তিন জনকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। বাড়ির কাছাকাছি এলে গজনী এলাকা সড়কে দাঁড়িয়ে থাকা বন্যহাতির দল তাদের সামনে পড়ে। এ সময় সঙ্গের তিন জন দৌড়ে পালিয়ে গেলেও এফিলিস হাগিদক পালাতে পারেননি। পরে হাতির দল থেকে একটি হাতি তাকে শুঁড় দিয়ে পেঁচিয়ে আছাড় দিলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
এদিকে দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে বন্যহাতির আক্রমণে দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
ঝিনাইগাতী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডা. অমিয় জ্যোতি সাইফুল্লাহ বলেন, ‘হাসপাতালে আনার আগেই আকাশের মৃত্যু হয়েছে। হাতির পায়ের আঘাতে তার মুখ ও পেট থেঁতলে গেছে।’
ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল-আমিন বলেন, ‘দুজনের মৃত্যুর ঘটনায় দুটি অপমৃত্যু মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।’