আক্তারের বাড়ি খাগড়াছড়ি পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি লক্ষ্মীছড়ি উপজেলার লেলাং সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
এই হামলার জন্য পৌর মেয়র রফিকুল আলম ও তার সমর্থকদের দায়ী করেছে আক্তারের পরিবার। তারা জানায়, শালবন এলাকায় নিজ বাসার সামনে ৮/৯ জন দুর্বৃত্ত আক্তার হোসেনকে এলোপাথাড়ি মারধর করে এবং মাথায় ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আহত অবস্থায় খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালে নিয়ে আসে। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ও হাসাপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
খাগড়াছড়ি সদর হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. আলাউদ্দিন বলেন, আহত ব্যক্তির মাথার মাঝখানে অস্ত্রের আঘাত রয়েছে। তবে অবস্থা স্থিতিশীল।
আক্তারের ছোট ভাই সাইফুল হোসেন বলেন, ‘আমার ভাই পৌর মেয়র রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে একটি মানহানির মামলা করে। মামলাটি প্রত্যাহার করতে দীর্ঘ দিন ধরে মেয়র ও তার লোকজন আমার ভাইকে নানাভাবে হুমকি ধমকি দিয়ে আসছিল। মামলা প্রত্যাহার না করায় এবং উপজেলা নির্বাচনে তাদের পচন্দের এক ভাইস চেয়ারম্যানের পক্ষে কাজ না করার অভিযোগ তুলে সুযোগ বুঝে মেয়রের লোকজন এ হামলা করেছে।’
প্রসঙ্গত, ২৯ জানুয়ারি খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলমের বিরুদ্ধে চিফ জুডিশয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ২ কোটি টাকার মানহানির মামলা করেন আক্তার হোসেন। মামলাটি পুলিশি তদান্তাধীন রয়েছে।
আরও পড়ুন:
শান্তিপূর্ণ পরিবেশে পাহাড়ে ভোট চলছে
‘পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পেরে আনন্দ লাগছে’