স্থানীয়রা জানায়, গত এক মাস ধরে লামা-সুয়ালক সড়কের কম্পনিয়া, আন্ধারী হিমছড়ি, কেয়াজুপাড়া বাজার ও আমতলী পর্যন্ত প্রায় ১৩ কিলোমিটার সড়কের দু’পাশ চার শতাধিক গাছ কাটা হয়ে গেছে।
সরকারি অনুমতি আছে-এমন কথা বলে সরই ইউপি চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম ও সচিব মো. মুসা পরিষদের দফাদার মোবারক হোসেনকে দিয়ে ভালো গাছগুলো কেটে বিভিন্ন ব্রিকফিল্ড ও তামাকচুল্লিতে বিক্রি করে দিয়েছেন। এছাড়া কিছুদিন আগে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ নেতা ইদ্রিস কোম্পানি কম্পনিয়া এলাকা হতে কয়েক গাড়ি এবং আব্দুল আজিজ নামের আরেক গাছ ব্যবসায়ী আমতলী হতে বেশকিছু গাছ কেটে ফেলেছেন।
স্থানীরা জানিয়েছেন, গাছগুলো চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম গাছ ব্যবসায়ী মোস্তফা সওদাগরকে বিক্রি করেছে এবং তিনি গাছগুলো পাচার করে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে মোস্তফা সওদাগর বলেন, ‘আমি ১৫ হাজার টাকা দিয়ে চেয়ারম্যানের কাছ থেকে রাস্তার পাশের পাঁচটি গাছ কিনেছি।’
আমতলী পাড়ার মনসুর আলম বলেন, ‘রাস্তার পাশের বড় বড় গাছগুলো কেটে নিয়ে গেছে চেয়ারম্যান ও সচিব।’
এ বিষয়ে দফাদার মোবারক হোসেন বলেন, ‘আমাকে চেয়ারম্যান ও সচিব গাছগুলো কাটতে বলেছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলেন।’
চেয়ারম্যান ফরিদুল আলম বলেন, ‘আমাকে লামা উপজেলা প্রকৌশলী কর্মকর্তা সড়কের দু’পাশের মরা গাছগুলো কাটতে অনুমতি দিয়েছেন।’
এ বিষয়ে লামা উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূর-এ জান্নাত রুমি বলেন, ‘খবর পেয়ে চেয়ারম্যানকে গাছ কাটা বন্ধ করতে বলেছি। এই বিষয়ে লামা উপজেলা প্রকৌশলীকে খোঁজ নিয়ে আমাকে জানাতে বলেছি।’