ঘরে ঢুকে নারীকে গুলি করে হত্যা, অভিযুক্ত যুবক ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

 

বন্দুকযুদ্ধচট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়া থানা এলাকায় এক নারীকে ঘরে ঢুকে গুলি করা হত্যার ঘটনায় অভিযুক্ত যুবক শাহ আলম পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে নিহত হয়েছেন। শনিবার (১১ মে) দিবাগত রাত ৩টার দিকে ওই এলাকার পেছনে কর্ণফুলী নদীর তীরে এ বন্দুকযুদ্ধের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছেন বাকলিয়া থানার ওসি নেজাম উদ্দিন। তার দাবি, বন্দুকযুদ্ধে তিনিসহ চার পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।

এরআগে রাত ৯টার দিকে বাকলিয়া থানার বজ্রঘোনা মদিনা মসজিদ এলাকায় বাড়িতে প্রবেশ করে বুবলি আক্তারকে গুলি করে শাহ আলম। গুরুতর আহতাবস্থায় বুবলিকে চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

ওসি নেজাম উদ্দিন বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘বুবলি আক্তারের খুনি শাহ আলম কর্ণফুলী নদীর পাড়ে তার সহযোগীদের নিয়ে অবস্থান করছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে অভিযানে যায় পুলিশ। এসময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে শাহ আলম ও তার সহযোগীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়ে। আত্মরক্ষায় পুলিশও পাল্টা গুলি ছোড়ে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে সন্ত্রাসীরা পালিয়ে যায়। এসময় ঘটনাস্থলে শাহ আলমকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় পাওয়া যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে চমেক হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।’

ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র ও গুলি উদ্ধার করা হয়েছে বলে জানান তিনি।

স্থানীয়রা ও বুবলির স্বজনরা জানান, শাহ আলম এক বছর আগে হাছান নামে স্থানীয় এক যুবককে ছুরিকাঘাত করার অভিযোগে ছয়মাস কারাভোগ করেন। জামিনে বের হওয়ার পর কয়েকমাস এলাকায় আসেননি শাহ আলম। শনিবার সন্ধ্যায় এলাকায় গেলে হাছান তার লোকজন নিয়ে তাকে ধাওয়া করে। ধাওয়া খেয়ে শাহ আলম পালিয়ে যায়। রাত আনুমানিক আটটার দিকে দুই হাতে দুটি পিস্তল নিয়ে সে ফের এলাকায় এলে হাছান আত্মগোপন করে। অস্ত্রহাতে শাহ আলম ঘুরাঘুরি করলে বিষয়টি হাছানকে বুবলির ভাই রুবেল জানিয়ে দেন। হাছানের সঙ্গে রুবেলের যোগাযোগের বিষয়টি জানার পর রাত সাড়ে আটটার দিকে বাড়িতে প্রবেশ করে রুবেলের খোঁজ করে শাহ আলম। এ সময় ভাইকে বাঁচাতে গেলে সন্ত্রাসী শাহ আলম বুবলিকে গুলি করে পালিয়ে যায়। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে গুলিবিদ্ধ বুবলি মারা যান।

 

আরও পড়ুন:
বাকলিয়ায় ঘরে ঢুকে নারীকে গুলি করে হত্যা