স্থানীয় পশু ব্যবসায়ী শহিদ বলেন, পশু আমদানির বিষয়ে সেদেশের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। পরিস্থিতি শান্ত হলে মিয়ানমার থেকে আগের মতো পশু আসা শুরু হবে।
শহিদ আরও বলেন, গবাদি পশু আমদানিতে এ করিডোর ভূমিকা রাখলেও অবকাঠামো ও ব্যবস্থাপনা নিয়ে ব্যবসায়ীদের মাঝে দিন দিন অসন্তোষ বাড়ছে। করিডোরে নেই ব্যাংক ও শুল্ক বিভাগসহ কোনও সযোগ-সুবিধা। দ্বীপে যাতায়াতেও লাগে দীর্ঘ সময়। অবকাঠামোর অভাবে আমদানি করা পশু খোলা আকাশের নিচে রোদে জলে-বৃষ্টিতে ভিজতে হয়। এতে পশুর বেহাল অবস্থা সৃষ্টি হয়ে নানা সমস্যা পোহাতে হয় ব্যবসায়ীদের।
শুল্ক বিভাগের তথ্যমতে, জুলাই মাসের এই পর্যন্ত মিয়ানমার থেকে ৫৯৬৬টি পশু আমদানি হয়েছে। এতে গরু ৩৪৭০টি ও মহিষ ২৪৯৬টি। আমদানির এসব পশু থেকে ২৯ লাখ ৮৩ হাজার টাকা রাজস্ব পায় সরকার। তবে এ মাসের ২০ দিন কোনও পশু করিডোরে আসেনি। তবে গত অর্থবছরে ৭৫ হাজার ৫২১টি পশু এবং আগের অর্থবছরে ১ লাখ ২৫ হাজার ৬৭টি পশু আমদানি হয়েছে।
টেকনাফ শুল্ক কর্মকর্তা ময়েজ উদ্দীন বলেন, ‘পশু আমদানিতে করিডোর ব্যাপক ভূমিকা রেখে যাচ্ছে। বৈরী আবহাওয়ায় মিয়ানমার থেকে পশু আসছে না। পশু আমদানি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ঈদে পশু আমদানি বৃদ্ধিতে ব্যবসায়ীদের উৎসাহিত করা হচ্ছে। আগের মতো এ বছরও পশু আমদানি বাড়বে বলে আশা করছেন তিনি।
উল্লেখ্য, চোরাইপথে মিয়ানমার থেকে গবাদিপশু আসা রোধে ২০০৩ সালে ২৫ মে শাহপরীর দ্বীপ ক্যাডল করিডোর চালু করা হয়। প্রতি গরু-মহিষ থেকে ৫শ টাকা ও ছাগল ২শ টাকা হারে রাজস্ব আদায় করা হয়। আমদানি করা পশু থেকে বিজিবি ও শুল্ক বিভাগ হয়ে সোনালী ব্যাংকের মাধ্য রাজস্ব আদায় করা হয়।