ট্রেনে কাটা পড়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য

 

ট্রেনে কাটা পড়ে নিহত দুই শিক্ষার্থীকুমিল্লায় ট্রেনে কাটা পড়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যু নিয়ে রহস্য দানা বেঁধেছে। তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা, তা নিয়ে চলছে নানা কথা। কিন্তু, তাদের পরিবার থেকে দাবি করা হয়েছে, প্রেমের বিষয়ে তারা কিছু জানেন না।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) আদর্শ সদর উপজেলার বদরপুর এলাকায় রেলসেতুর দক্ষিণ অংশে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলো- সদর উপজেলার শাসনগাছা এলাকার মনিরুল হকের ছেলে স্বপ্নীল হক আদিত্য (১৩)ও ধর্মপুর এলাকার সুবল রায়ের মেয়ে সেতু রায় (১৪)। ছেলেটি কুমিল্লা পুলিশ লাইন্স স্কুলের সপ্তম শেণির ছাত্র ছিল। মেয়েটি রেলওয়ে পাবলিক স্কুলের নবম শেণির ছাত্রী ছিল।

নিহতদের মরদেহ পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে।

সেতু রায়ের মা গোলাপী রানী রায় জানান, ‘তার মেয়ে শুক্রবার সকাল পৌনে ১০টায় নগরীর বাগিচাগাঁও এলাকায় পাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে ট্রেনে কাটা পড়ে সেতু মারা গেছে বলে তিনি খবর পান। নিহত আদিত্যের সঙ্গে সেতুর কোনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা, তিনি জানেন না।’

স্বপ্নীল হক আদিত্যের বাবা মনিরুল হক বলেন, ‘নগরীর রেইসকোর্স এলাকায় পাইভেট পড়তো আদিত্য। শুক্রবার সকাল ১১টায় পাইভেট পড়তে বাড়ি থেকে সে বের হয়। দুপুর ১২টার দিকে আমরা খবর পাই, আদিত্য ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে। সেতু রায়ের সঙ্গে আদিত্যের কোনও প্রেমের সম্পর্ক ছিল কিনা, তা আমার জানা নেই।’

কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও কুমিল্লা সদর সার্কেল তানভীর সালেহীন ইমন বলেন, ‘নিহত দুই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে, না ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছে; তা পুলিশ খতিয়ে দেখছে।’

কুমিল্লা রেলওয়ে (জিআরপি) ফাঁড়ির ইনচার্জ উপ-পরিদর্শক মেজবাউল হক মেজবাহ জানান, ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম অভিমুখী মহানগর প্রভাতী এক্সপ্রেস ট্রেনটি দুপুরে বদরপুর এলাকা অতিক্রম করছিল। তখন দুই শিক্ষার্থী ওই ট্রেনে কাটা পড়ে। স্থানীয়দের মাধ্যমে এমন খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়িতে নিয়ে আসে। ময়নাতদন্তের জন্য তাদের মরদেহ কুমিল্লা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

স্থানীয়দের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, ঘুরতে গিয়ে সেতু রায় নামে ওই মেয়েটি রেল লাইনের একটি অংশে আটকা পড়ে।  আদিত্য তাকে বাঁচাতে যায়। পরে তারা দুই জনই ট্রেনে কাটা পড়ে মারা যায়।