টেকনাফে যুবলীগ নেতা হত্যা মামলার আসামি ২ রোহিঙ্গা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত

যুবলীগ নেতা ওমর ফারুককক্সবাজারের টেকনাফে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছে। তারা হলো, টেকনাফের জাদিমুরা শরণার্থী শিবিরের মোহাম্মদ শাহ ও মো. শুক্কুর।

পুলিশের দাবি, দু’জনই চিহ্নিত সন্ত্রাসী। তারা যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামি।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) গভীর রাতে উপজেলার হোয়াইক্যং জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরে পাহাড় সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের তিন সদস্য আহত হয়েছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) মিয়ানমার থেকে ইয়াবার চালান আনার সময় বিজিবির সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে দুই রোহিঙ্গা নিহত হয়েছিল। 

টেকনাফ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রদীপ কুমার দাস বলেন,যুবলীগ নেতা ওমর ফারুক হত্যা মামলার আসামিরা জাদিমুরা রোহিঙ্গা শিবিরে অবস্থান করছে— এমন খবর পেয়ে পুলিশের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়। পরে তারা পিছু হটলে সেখান থেকে দুই রোহিঙ্গাকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আনা হলে সেখানের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক দু’জনকে কক্সবাজার সদরে পাঠায়। সেখানে নেওয়ার পর কর্তব্যরত চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।

টেকনাফ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক শোভন দাস বলেন, রাতে পুলিশ হাসপাতালে গুলিবিদ্ধ দুই রোহিঙ্গাকে নিয়ে আসেন। দু’জনের শরীরে গুলির চিহ্ন রয়েছে। আহত পুলিশ সদস্যকে চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ওসি বলেন, ঘটনাস্থল থেকে দু’টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে।  নিহত দুই রোহিঙ্গার লাশ ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।

 

আরও পড়ুন:

রোহিঙ্গাদের মুখে খাবার তুলে দেওয়া ফারুক রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীদের হাতে খুন!

যুবলীগ নেতাকে গুলি করে হত্যার অভিযোগ রোহিঙ্গাদের বিরুদ্ধে