তিন বছরের শিশুসহ অন্তঃসত্ত্বা গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগ

নোয়াখালীনোয়াখালীতে পারিবারিক কলহের জেরে তিন বছরের শিশু সন্তান ও তার অন্তঃসত্ত্বা মাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। শনিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকালে সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে গৃহবধূ ফারহানা আক্তার পান্নার (২২) শ্বশুর মো. আইয়ুব আলীকে (৫০) আটক করেছে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।

পুলিশ শনিবার সন্ধ্যায় লাশ উদ্ধার করে রবিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়।

জানা যায়, পাঁচ বছর আগে আন্ডারচর ইউনিয়নের কাজিরচর গ্রামের আইয়ুব আলীর ছেলে মো. সুমনের (৩০) সঙ্গে কালাদরাপ ইউনিয়নের পশ্চিম শুল্লুকিয়া গ্রামের আবুল কালামের মেয়ে ফারহানার বিয়ে হয়। শারমিন আক্তার লামিয়া নামে তাদের তিন বছরের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।

ফারহানার বাবা আবুল কালাম অভিযোগ করে বলেন, বিয়ের পর থেকে শ্বশুর বাড়িতে বিভিন্ন অজুহাতে পান্নার ওপর নির্যাতন চালাতো তার শ্বশুর, শাশুড়ি, ননদ ও দেবর। ফারহানার স্বামী পেশায় ইট-ভাটার শ্রমিক। শনিবার সকালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে শ্বশুর আইয়ুব আলী তাকে মারধর করে। এ সময় আমার মেয়ের জামাই বাড়িতে ছিল না। একপর্যায়ে ফারহানাকে শ্বাসরোধে হত্যা করে তার শ্বশুর। এ সময় শিশু শারমিন কান্নাকাটি করলে তাকেও শ্বাসরোধে হত্যা করা হয়। হত্যা শেষে একই রশিতে ফারহানা ও তার শিশু সন্তানকে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রচার করে।

আন্ডারচর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলী হায়দার বকশী জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন বলে তিনি শুনেছেন। এর আগে শিশুটিকে হত্যা করা হয়। তবে, ওই গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছেন নাকি তাকে হত্যা করা হয়েছে এ ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত নন। তিনি ঘটনাস্থল গিয়ে লাশগুলোকে মাটিতে রাখা অবস্থায় পেয়েছেন।

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. নবীর হোসেন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসার পর বোঝা যাবে এটি হত্যা না আত্মহত্যা। এ ঘটনায় গৃহবধূর শ্বশুর আইয়ুব আলীকে আটক করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় ফারহানার পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় লিখিত অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।