আখাউড়ায় পরীক্ষা দিয়ে হতে হবে ছাত্রলীগ নেতা

ব্রাহ্মণবাড়িয়া

ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলায় ছাত্রলীগের ছয় ইউনিটের সম্মেলনের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। ওই ইউনিটগুলোতে যারা নেতৃত্বে আসবেন, তাদের পরীক্ষার হলে বসতে হবে। লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই তাদের নেতা হতে হবে।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৪ (কসবা-আখাউড়া) আসনের সংসদ সদস্য এবং আইনমন্ত্রী আনিসুল হকের নির্দেশনায় এই পরীক্ষার আয়োজন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে জানার জন্য পদ পেতে আগ্রহীদের ‘কারাগারের রোজনামচা’ ও ‘বঙ্গবন্ধুর অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ পড়তে হবে এবং এই বই দুটি পড়ে লিখিত পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হলেই তবে নেতা হওয়ার সুযোগ মিলবে।

উপজেলা ছাত্রলীগ সূত্র জানায়, পাঁচ ইউনিয়ন ও জংশন শাখা সম্মেলনের প্রস্তুতি হিসেবে সভাপতি ও সম্পাদক পদ প্রত্যাশীদের মধ্যে ফরম বিক্রি শুরু হয়েছে। ফরম সংগ্রহকারীদের জানিয়ে দেওয়া হচ্ছে, ওই দুই বই থেকে পরীক্ষা নেওয়া হবে। একইসঙ্গে প্রত্যেকের ছাত্রত্বের ব্যাপারে নিশ্চিত হয়ে নেতৃত্ব বাছাই করা হবে। ইতোমধ্যে ৫১টি ফরম বিক্রি হয়েছে। আজ (বুধবার) মধ্যরাত পর্যন্ত ফরম বিক্রি চলবে।

আখাউড়া মনিয়ন্দ ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি পদপ্রার্থী মশিউর রহমান বলেন, ‘ওই দুইটি বই পড়ার জন্য প্রধানমন্ত্রীও নির্দেশ দিয়েছিলেন। এখন আইনমন্ত্রী সে নির্দেশনা দেওয়ায় তাকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি।’

আখাউড়া দক্ষিণ ইউনিয়নের সভাপতি পদপ্রত্যাশী শাওন ভূইয়া বলেন, ‘আমাদের অহংকার হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু সম্পর্কে আরও নতুন কিছু জানবো। আর এ নিয়ে পরীক্ষা দেবো, অন্য রকম অনুভূতি হচ্ছে।’

আখাউড়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. শাখাওয়াত হোসেন নয়ন বলেন, ‘এলাকার প্রিয়নেতা আইনমন্ত্রী এ নির্দেশ দিয়েছেন। সে মোতাবেক আমরা প্রত্যেক প্রার্থীকে দুইটি বই পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি। নেতাকর্মীরাও বিষয়টি ভালোভাবে নিয়েছে। আশা করি, যোগ্য নেতৃত্ব বাছাইয়ে এমন উদ্যোগ অগ্রণী ভূমিকা পালন করবে।’

উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. শাহবুদ্দিন বেগ শাপলু বলেন, ‘আমরা সৃজনশীল পদ্ধতিতে লিখিত পরীক্ষা নেবো। আগামী ১৫ দিনের মধ্যে পরীক্ষার সময়সূচি জানিয়ে দেওয়া হবে। মৌখিক পরীক্ষাও নেওয়া হবে। সব মিলিয়ে ৬০ নম্বরের পরীক্ষা হতে পারে।’