চাঁদপুরে ফের পদ্মার ভাঙন, ইউপি কার্যালয়সহ মাদ্রাসা ভবন নদীতে বিলীন

01চাঁদপুর সদর উপজেলার ১৪নং রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নে ফের পদ্মার ভাঙন শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টম্বর) দুপুর থেকে ভাঙন শুরু হয়। এতে ইউনিয়ন পরিষদের শেষ ঘরটি এবং মোজাফ্ফরিয়া দাখিল মাদ্রাসার ভবন নদীতে বিলীন হয়ে গেছে।
স্থানীয়রা জানায়, জোয়ার শেষে ভাটা শুরুর সময়টাতেই ভাঙন শুরু হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ভাঙনে বিস্তর এলাকার ভিটেমাটি ও ফসলি জমি নদীতে তলিয়ে গেছে।
স্থানীয়রা আরও জানান, তারা কোনও ত্রাণ চান না। তারা চান ভাঙনরোধে স্থায়ী পদক্ষেপ নেওয়া হোক। এলাকার ভাঙন ঠেকাতে সরকারের প্রতি অনুরোধ জানান তারা।
রাজরাজেশ্বর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ মো. হযরত আলী বেপারী বলেন, ‘উজান থেকে প্রবল বেগে পানি চাঁদপুর হয়ে নদী দিয়ে বঙ্গোপসাগরে প্রবাহিত হওয়ায় রাজরাজেশ্বর ইউনিয়নের চর এলাকায় মেঘনা ও পদ্মা নদীর মিলনস্থলে প্রচণ্ড ঢেউ এবং ঘূর্ণি স্রোতের সৃষ্টি হয়। যার কারণে ঢালীর বাজার, দেওয়ান বাজার, লগ্মীমারা ও বন্ধুকসী বাজার এলাকায় নদী ভাঙনে ইতোমধ্যে বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। স্কুল-মাদ্রাসা পদ্মার ভাঙনে বিলীন হয়ে গেছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ওই এলাকার নদীর তীরবর্তী বাকি অংশগুলোও ভাঙনের আশঙ্কা রয়েছে। তাই আমরা ঘর-বাড়ি সরিয়ে নিচ্ছি। আমরা আশ্রয়ের ব্যবস্থা করছি। তাদের যতটুকু সহযোগিতা করার তার জন্য চেষ্টা করবো।’ বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন বলে জানান তিনি।
চেয়ারম্যান বলেন, ‘ভাঙনে ইউনিয়ন পরিষদ এবং মাদ্রাসাটি আগেই ভাঙনের মধ্যে ছিল। তবে যা অবশিষ্ট ছিল বৃহস্পতিবারের ভাঙনে সবটুকুই বিলীন হয়ে গেছে।’
এর আগে, গত মাসের ২৭ তারিখে ভাঙনে রাজরাজেশ্বর মোজাফ্ফরিয়া দাখিল মাদ্রাসা ও ওমর আলী উচ্চ বিদ্যালয়সহ শতাধিক বসতঘর বিলীন হয়ে যায়। ভাঙনের ভয়ে ওই সময়ে ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়সহ শতাধিক বসতঘর সরিয়ে নেওয়া হয়।
এদিকে চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু রায়হান বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ওই এলাকায় কাজ করার কোনও পরিকল্পনা আমাদের নেই।’