বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) রাত পৌনে ১১টার সময় তাদের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা করা হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, শহিদের বাড়ি ছিল রাখাইনের মংডুতে। তার প্রকৃত নাম সৈয়দ আলম। ১৯৯৬ সালে সে বাংলাদেশে আসার পর প্রথমে লামা উপজেলার লাইনঝিড়িতে বাসা ভাড়া নিয়ে থাকতো। সেখান থেকে বাংলাদেশি জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করে। পরে লামা থেকে বান্দরবান সদরের ইসলামপুরে বাবুর বাসায় ভাড়া নেয় এবং বাসের হেলপার হিসেবে কাজ শুরু করে। কুতুপালং রোহিঙ্গা ক্যাম্পেও তার বাসা রয়েছে বলে জানা গেছে।
আর লামার ইয়াংছা এলাকার ঠিকানা ব্যবহার করে কক্সবাজারের উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পের নিবন্ধিত রোহিঙ্গা জোসনা আক্তার পাসপোর্ট করার চেষ্টা করেছিল। বাবা হিসেবে তিনি বান্দরবান শহরের ইসলামপুর এলাকার বাসিন্দা শহীদ আলমের নাম ব্যবহার করেছিল। পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তাদের তাদের দেখে সন্দেহ হলে আটক করে থানায় সোপর্দ করে। পরে যাচাই-বাছাইয়ের পর রোহিঙ্গা প্রমাণিত হওয়ায় তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়।
এ বিষয়ে বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) এনামুল হক ভুইয়া বলেন, মিথ্যা পরিচয় দিয়ে প্রতারণা করে পাসপোর্ট করতে আসায় দুই রোহিঙ্গার বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে।