জানা গেছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসতে বেশি সময় লাগায় গরমে পেঁয়াজ পচে যাচ্ছে। যেগুলো ভালো থাকছে সেগুলোরও মান পড়ে যাওয়ায় কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। ফলে আমদানিকারকরা লোকসানের মুখে পড়ছেন।
হাজী আমিরুজ্জামান অ্যান্ড সন্স আড়তের পরিচালক মো. জাকারিয়া বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে টেকনাফ হয়ে পাঠানো পেঁয়াজ বেশি দিন আড়তে রাখা যাচ্ছে না। দ্রুত পচে যাচ্ছে।’
শুধু হাজী আমিরুজ্জামান অ্যান্ড সন্স আড়ত নয়, পাইকারি বাজার খাতুনগঞ্জের একাধিক আড়তে একই চিত্র দেখা গেছে। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) অধিকাংশ আড়তের সামনে নষ্ট পেঁয়াজের বস্তা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
আড়তদাররা জানিয়েছেন, আমদানিকারকদের পাঠানো পেঁয়াজ আড়তদাররা কমিশনে বিক্রি করেন বলে আড়তদাররা কোনও ক্ষতির সম্মুখীন হন না।
খাতুনগঞ্জ ট্রেডিংয়ের কর্ণধার আবুল বশর বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজগুলো খাতুনগঞ্জে আসতে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লেগে যাচ্ছে। এ কারণে গরমে পেঁয়াজের মান নষ্ট হচ্ছে। পরে আড়তে রাখলে দ্রুত পচে যাচ্ছে।’ গত দুই-তিন দিনে প্রায় এক কোটি টাকার পেঁয়াজ নষ্ট হয়েছে বলে জানান তিনি।
আবুল বশর আরও বলেন, ‘প্রতিটি আড়তে প্রতিদিন গড়ে ১০০ থেকে ১৫০ বস্তা করে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। খাতুনগঞ্জে ১৫ থেকে ২০টি পেঁয়াজের আড়ত আছে। সেই হিসাবে গত তিন দিনে ৫ থেকে ৬ টন পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে গেছে।’ মান নষ্ট হওয়ায় এসব পেঁয়াজ কম দামে বিক্রি করতে হচ্ছে বলেও তিনি জানান।
সরেজমিনে দেখা যায়, মিয়ানমারের পেঁয়াজ যেখানে বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে; সেখানে ভারতের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা দরে।
আমদানিকারক মো. আব্দুল জব্বার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘এসব পেঁয়াজ লোহার বোটে করে মিয়ানমার থেকে টেকনাফে আনা হয়। টেকনাফ আনতে লাগে ৩ থেকে ৪ দিন। সেখানে খালাসের জন্য দুই থেকে তিন দিন অপেক্ষায় থাকে। ফলে মিয়ানমার থেকে পেঁয়াজের একটি চালান চট্টগ্রাম আসতে গড়ে ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগছে। এই সময়ে কোল্ড স্টোরেজের বাইরে থাকায় পেঁয়াজগুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে।’