কুমিল্লায় ইলিশ বিক্রির অপরাধে সাত ব্যবসায়ীর কারাদণ্ড

কুমিল্লা

সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইলিশ বিক্রির অপরাধে কুমিল্লার হোমনায় সাত জন মাছ ব্যবসায়ীকে অর্থদণ্ডসহ এক বছরের কারাদণ্ড  দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। 

সোমবার (১৪ অক্টোবর) উপজেলার বিজয়নগর ও সদর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে সাত জন মাছ ব্যবসায়ীকে আটক এবং ৯৩ কেজি ইলিশ জব্দ করা হয়।

উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ইউএনও তাপ্তি চাকমা এ অভিযান পরিচালনা করেন। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও এক বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অভিযান চলাকালে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে ছিলেন পুলিশের ফোর্সসহ উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কারিশমা আহমেদ জাকসি।

দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— কিশোরগঞ্জ মিঠামইন উপজেলার শান্তিপুর গ্রামের রতন মিয়ার ছেলে মো. রুবেল, একই এলাকার আকবর আলীর ছেলে মালেক, কাঠখাল গ্রামের আ. লতিফের ছেলে আতাউর রহমান, ইটনা উপজেলার কাইট্টা কান্দার শরীফ মিয়ার ছেলে মনির হোসেন, হবিগঞ্জ জেলার আজমিরীগঞ্জ উপজেলার কামালপুর গ্রামের তারা মিয়ার ছেলে মোস্তফা, একই এলাকার নূরুল ইসলামের ছেলে আবু কালাম ও নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার খালিয়ারচর গ্রামের আবদুল করিমের ছেলে আক্তার হোসেন।

ইউএনও তাপ্তি চাকমা বলেন, ‘তিতাস নদী এবং বিভিন্ন বাজারে অভিযানকালে বিজয়নগর গ্রাম এবং বাসস্ট্যান্ড থেকে ৯৩ কেজি ইলিশসহ সাত ব্যবসায়ীকে আটক করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা অনাদায়ে এক বছরের সাজা দেওয়া হয়েছে।’

উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা কারিশমা আহমেদ জাকসি বালেন, ‘গত ৯ অক্টোবর থেকে আগামী ২২ অক্টোবর পর্যন্ত মোট ২২ দিন ইলিশ মাছ ধরা, পরিবহন, বিক্রি সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ। সরকার ঘোষিত এ সময়ের মধ্যে কেউ ইলিশ ধরা, বিক্রি ও পরিবহনের সঙ্গে জড়িত হলে তারা মৎস্য আইনের আওতায় শাস্তি পাবেন।’