নাঈমুল আবরারের বাড়িতে মাতম

নাঈমুল আবরারের বাড়িতে চলছে আহাজারি (ছবি– প্রতিনিধি)

কিশোর আলোর অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু হওয়া রেসিডেন্সিয়াল মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজের শিক্ষার্থী নাঈমুল আবরারের বাড়িতে এখন শোকের মাতম। বাড়ির অন্দরে হাউমাউ করে কাঁদছেন তার স্বজনেরা। আর তাদের স্বান্তনা দিতে ছুটে এসেছেন পাড়া-প্রতিবেশীরা।

নবম শ্রেণির ছাত্র আবরারের গ্রামের বাড়ি নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীর ধন্যপুরে। তিন ভাই-বোনের মধ্যে সে ছিল সবার ছোট। 

আবরারের বাড়িতে গেলে স্থানীয়রা জানান, লাশ গ্রামে আসার আগে থেকেই তার বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। শনিবার (২ নভেম্বর) সকালে ঢাকা থেকে তার লাশ বাড়িতে আসলে স্বজনদের আহাজারি বাড়ে। এসময় গ্রামের শত শত মানুষ এসে ভিড় করেন। সকাল ১০টায় ধন্যপুর বায়তুল আমান জামে মসজিদ কমপ্লেক্স মাঠে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।

কথা বলতে চাইলে আবরারের বাবা মজিবুর রহমান বলেন, ‘সন্তানের মৃত্যুতে আমার কোনও অভিযোগ নেই। আল্লাহর হুকুম হয়েছে, তাই আমাদের কাছ থেকে তিনি তাকে নিয়ে গেছেন। তবে বিদ্যুৎস্পৃষ্টের সঙ্গে সঙ্গে আমার ছেলেটাকে কাছের হাসপাতালে নিয়ে গেলে হয়তো ভালো হতো।’

প্রসঙ্গত, শুক্রবার বিকালে কলেজ ক্যাম্পাসে দৈনিক প্রথম আলোর সাময়িকী কিশোর আলোর একটি অনুষ্ঠান চলাকালে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় নাঈমুল আবরার। এ ঘটনায় আয়োজকদের অব্যবস্থাপনাকে দায়ী করেছেন শিক্ষার্থীরা। শনিবার তারা মানববন্ধনও করেছে। এসময় কিশোর আলো কর্তৃপক্ষকে সামনে হাজির করে যথাযথ জবাবদিহির দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।