লালমাই পাহাড়ের পাদদেশে অবস্থিত কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হচ্ছে শুক্রবার (৮ নভেম্বর) থেকে। ৩টি ইউনিটে এ পরীক্ষা নেওয়া হবে শনিবার (৯ নভেম্বর) পর্যন্ত। এ বছর ৬৮ হাজার ৭৭ জন ভর্তিচ্ছু পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করবেন। ১৯টি কেন্দ্রে পরীক্ষা হবে। দূরদূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের ভোগান্তি ও হয়রানি কমাতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয় পরিবহন পুলের কর্মকর্তা জাহিদ জুয়েল জানান, ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের যাতায়াতের সুবিধার্থে আজ বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) দুপুর ২টা থেকে ফ্রি-বাস সার্ভিস চালু হয়েছে। এ বাসগুলো কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট ও পদুয়ারবাজার বিশ্বরোড থেকে এক ঘণ্টা পর পর এবং কুমিল্লা রেলস্টেশন থেকে কান্দিরপাড় হয়ে ২ ঘণ্টা পর পর ক্যাম্পাসের উদ্দেশে ছেড়ে আসবে। এছাড়া, বৃহস্পতিবার দিনগত রাত ১টায় একটি বাস কুমিল্লা রেলস্টেশন থেকে কান্দিরপার হয়ে ক্যাম্পাস অভিমুখে আসবে।
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের বলেন, ‘এবারের ভর্তি পরীক্ষায় ৬৮ হাজার ৭৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নেবে। এরমধ্যে এ ইউনিটে ২৬ হাজার ৯শ’ ৭৫ জন, বি ইউনিটে ২৮ হাজার ২শ’ ৯৫ জন এবং সি ইউনিটে ১২ হাজার ৮শ’ ৭ জন।
পরীক্ষা ব্যবস্থাপনা যেন প্রশ্নবিদ্ধ না হয়, সেদিকেই নজর রয়েছে জানিয়ে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এমরান কবির চৌধুরী বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় পাহাড়ি এলাকায় হওয়ায় এখানকার রাস্তাঘাট কিছুটা সংকীর্ণ। গত বছর প্রবেশপথের রাস্তাটি খুবই খারাপ ছিল। এবার রাস্তাটি একটু ভালো হয়েছে।’
দূরদূরান্ত থেকে আসা শিক্ষার্থী ও তাদের অভিভাবকদের আবাসনসহ অন্য সব বিষয়ে সহযোগিতায় হেল্পডেস্ক খোলা ছাড়াও অন্যান্য প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সংগঠন। সংগঠনগুলোর একটি প্রতিনিধি দল জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) সৈয়দ নুরুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ করলে তিনি জানান, আগতরা যেন নির্বিঘ্নে চলাফেরা করতে পারেন, তার জন্য যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এসপি সৈয়দ নুরুল ইসলাম বলেন, ‘শহর ও হাইওয়ে থেকে একটু দূরে বিশ্ববিদ্যালয়। এসব বিবেচনা করে ভর্তি পরীক্ষাকে ঘিরে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনা সাজিয়েছি আমরা। এ বছর অতীতের সমস্যাগুলো হবে না। শহর এবং বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় অতিরিক্ত এক লাখ মানুষের চাপ বেড়ে যাওয়ার সুযোগে সিএনজিচালিত অটোরিকশা, রিকশা এবং অন্য যানগুলোর ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়। এছাড়া, আবাসিক ও খাওয়ার হোটেলগুলোতে অতিরিক্ত দাম নেওয়া হয়। এতে পরীক্ষার্থী ও তাদের অভিভাকরা ভোগান্তিতে পড়েন। এবার আর সেটা হবে না; সেভাবেই ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন- ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রি বাস সার্ভিস