চট্টগ্রামে আশ্রয়কেন্দ্রে ৫০ হাজার মানুষ

আশ্রয়কেন্দ্রে মানুষকে নিয়ে মাইকিং

ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুলে’র ক্ষয়ক্ষতিরোধে উপকূলীয় উপজেলাসহ চট্টগ্রাম মহানগরের ঝুঁকিপূর্ণ জায়গা থেকে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে নেওয়া হয়েছে। সারাদিন মাইকিং হলেও মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে যাননি। তবে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসার পর থেকে তারা আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়া শুরু করেন।

এ তথ্য নিশ্চিত করে জেলা প্রশাসনের স্টাফ অফিসার তানভীর ফরহাদ শামীম বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, ‘শুক্রবার সন্ধ্যা থেকে আজ শনিবার (৯ নভেম্বর) সন্ধ্যা পর্যন্ত প্রচারণা চালিয়ে প্রায় ৫০ হাজার মানুষকে আশ্রয়কেন্দ্রে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষকে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে মাইকিং অব্যাহত রয়েছে৷ আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে ইউএনও, এসিল্যান্ড ও স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের তত্ত্বাবধানে খাবারের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।’ পতেঙ্গা সি-বিচসহ আশপাশের এলাকা থেকে ভাসমান দোকানগুলো তুলে দিয়ে লোকজনকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে বলেও তিনি জানান।

তানভীর ফরহাদ শামীম বলেন, ‘উপজেলাসহ জেলার সব সরকারি অফিস সারাদিন খোলা রেখে ঘূর্ণিঝড় পরিস্থিতি মনিটরিং করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুম থেকে সার্বক্ষণিক জরুরি তথ্য সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘ঘূর্ণিঝড় পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য প্রয়োজনীয় নগদ টাকা, জিআর চাল, শুকনো খাবার, ঢেউটিন ও তাঁবু প্রস্তুত রাখা হয়েছে। প্রস্তুত আছে ২৯০টি মেডিক্যাল টিম, রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি, ফায়ার সার্ভিস, বিএনসিসি, স্কাউট, স্বেচ্ছাসেবক টিমসহ সব সহযোগী সংস্থা। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ, নৌ-পুলিশ, কোস্টগার্ড ও অন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে এবং তারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।’

প্রসঙ্গত, ‘বুলবুল’ মোকাবিলায় চট্টগ্রাম জেলায় সর্বমোট ৪৭৯টি আশ্রয়কেন্দ্রসহ ৪ হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রস্তুত রাখা হয়েছে।