ফেরত আসা জেলেদের মধ্যে ১৩ জন ভোলার, দুই জন চট্টগ্রামের, একজন ঝালকাঠির ও একজন মুন্সিগঞ্জ জেলার বাসিন্দা।
জেলেরা হলেন, ভোলার কুলাকুপার এলাকার মো. আলমগীরের ছেলে মো. আল আমিন, একই এলাকার আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মো. জহিরুল ইসলাম, উত্তর মাদ্রিস এলাকার নূর মোহাম্মদ পাটোয়ারীর ছেলে মো. জসীম, জয়নাল আবেদীনের ছেলে নূরুল ইসলাম, মকবুল আহাম্মদের ছেলে মো. নাছের, পশ্চিম এওয়াজপুর এলাকার মৃত খোরশেদ আলম সওদাগরের ছেলে মো. কামাল সওদাগর, নূরাবাদ এলাকার মৃত আব্দুল লতিফ ব্যাপারীর ছেলে আবুল কালাম, নীলকমল এলাকার আব্দুল মালেকের ছেলে বেলাল হোসেন, মৃত নজির আহাম্মদের ছেলে মো. মোতাহার, চুন্নাবাদ এলাকার মো. মিলনের ছেলে জাকির হোসেন, কন্দকারবারী এলাকার আবি আব্দুল্লাহর ছেলে আবুল কালাম, স্যার নূরুল আমিন ইউনিয়নের নজির আহাম্মদের ছেলে মো. ফারুক, এবারেক চকিদারের ছেলে মো. সেলিম।
চট্টগ্রামের লাওরবিল এলাকার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে মো. শাহ আলম ও মৃত সোলাইমানের ছেলে মো. জসীম।
মুন্সিগঞ্জের চাষি বারীগঞ্জ এলাকার মৃত তাহের আলী দেওয়ানের ছেলে আবু সৈয়দ এবং ঝালকাঠির শওকতগঞ্জ এলাকার আব্দুল কাদেরের ছেলে মো. নুরুজ্জামান।
কমান্ডার মেজবাহ উদ্দিন বলেন, ‘মিয়ানমার থেকে ১৭ বাংলাদেশিকে ফেরত আনা হয়েছে। এর আগে সেন্টমার্টিন দ্বীপের দক্ষিণ দিকে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যের রাথিডং উপকূলের মাইও নদীর মোহনায় মিয়ানমারের জলসীমায় দেশটির নৌবাহিনী ১৭ জেলেসহ এফবি গোলতাজ-৪ (এফ-৬০৭৯) নামে বাংলাদেশি একটি ফিশিং বোট সাগর থেকে আটক করে। পরে সরকারের উচ্চপর্যায়ে আলোচনার মাধ্যমে তাদের ফেরত আনা হয়েছে।’
টেকনাফ কোস্টগার্ড স্টেশন কমান্ডার লে. সোহেল রানা বলেন, ‘সরকারের প্রচেষ্টায় মিয়ানমার থেকে ফিশিং ট্রলারসহ ১৭ বাংলাদেশি জেলেকে ফেরত আনা সম্ভব হয়েছে। আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
ট্রলারের মাঝি মো. ফারুক বলেন, ‘ট্রলারটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে মিয়ানমার জলসীমানায় ঢুকে পড়ে। এ সময় সে দেশের নৌবাহিনী আমাদের আটক করে। পরে সরকারের প্রচেষ্টায় আমরা ফিরে এসেছি।’
আরও পড়ুন...
মিয়ানমার থেকে ফিরছেন বাংলাদেশি ১৭ জেলে