নানা আয়োজনে নোয়াখালী মুক্তদিবস উদযাপন

‘মুক্তিযুদ্ধের বিজয়, বীর বাঙালির জয়’ স্লোগানে নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে ৭ ডিসেম্বর নোয়াখালী মুক্তদিবস পালিত হয়েছে। এ উপলক্ষে জেলা শহর মাইজদীতে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক শিশুদের চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।

শনিবার (৭ ডিসেম্বর) বিকালে জেলার পিটিআই সংলগ্ন মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্য মুক্ত স্কয়্যারে পুষ্পমাল্য অর্পণ শেষে জেলা শহর মাইজদীতে র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ মিনার প্রাঙ্গণের বিজয় মঞ্চে গিয়ে জাতীয় পতাকা ও মুক্ত দিবসের পতাকা উত্তোলন করা হয়।

পরে বিজয় মঞ্চে আয়োজিত আলোচনা সভায় জেলা মুক্তিযোদ্ধা ইউনিটের কমান্ডার মোজাম্মেল হক মিলনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক একেএম সামছুদ্দিন জেহান।

বক্তারা বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার এতগুলো বছরেও হানাদার দোসরদের প্রেতাত্মা রয়ে গেছে। এসময় বর্তমান প্রজন্মকে দেশের স্বাধীনতা রক্ষায় ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করার আহ্বান জানানো হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি খীসা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আবু তাহের, শহর আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল ওয়াদুদ পিন্টু, বীর মুক্তিযোদ্ধা মিয়া মোহাম্মদ শাহজাহান, মিজানুর রহমান ও মমতাজুল করিম বাচ্চুসহ মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযোদ্ধার সন্তান এবং বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

নোয়াখালী মুক্ত দিবস১এরআগে, সকালে মুক্তিযুদ্ধের ভাস্কর্যে পুষ্পমাল্য অর্পণ করেন জেলা প্রশাসক তন্ময় দাস ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আলমগীর হোসেন।

এছাড়াও মৌমাছি কচিকাঁচার মেলা চত্বরে নোয়াখালী শিশু নাট্যমের উদ্যোগে চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা এবং সন্ধ্যায় বিজয় মঞ্চে প্রদীপ প্রজ্জালন, নৃত্য, গান ও মঞ্চ নাটক পরিবেশনা করে জেলার বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন।

উল্লেখ্য, ১৯৭১ এর ৭ ডিসেম্বর দখলদার পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের এদেশীয় দোসরদের হাত থেকে মুক্ত হয় বৃহত্তর নোয়াখালী। তখন থেকে আজকের এ দিনটিকে ‘নোয়াখালী মুক্ত দিবস’ হিসেবে পালন করে আসছে মুক্তিযোদ্ধা ও জেলাবাসী।