‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইয়াবা ব্যবসায়ী নিহত

বন্ধুকযুদ্ধে নিহত ব্যক্তির কাছ থেকে ইয়াবাসহ দেশীয় তৈরি এলজি , দুই রাউন্ড তাজা কার্তজ ও একটি কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে

কক্সবাজারের টেকনাফে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদস্যদের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ ইমাম হোসেন (২৫) নামের এক যুবক নিহত হয়েছে। বিজিবির দাবি নিহত যুবক ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিল। মঙ্গলবার (১০ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা গ্রামের নাফ নদীর পাড়ে এ ‘বন্দুকযুদ্ধে’র ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের জাদিমোরা গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে। 

টেকনাফ ২নং বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান এ কথা জানান।

তিনি জানান, ঘটনাস্থল থেকে এক লাখ বিশ হাজার পিস ইয়াবা ও একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার ইয়াবার আনুমানিক মূল্য তিন কোটি ষাট লাখ টাকা।

বিজিবি’র অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. ফয়সল হাসান খান জানান, টেকনাফ উপজেলার হ্নীলা ইউনিয়নের দমদমিয়া বিওপিতে দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা মিয়ানমার থেকে একটি ইয়াবার চালান আসার খবর পেয়ে ওই এলাকায় অবস্থান নেয়। এক পর্যায়ে মিয়ানমারের লালদ্বীপ হয়ে নাফ নদী পার হয়ে একটি নৌকা বাংলাদেশে ঢুকে। এসময় দায়িত্বরত বিজিবি সদস্যরা নৌকায় আসা লোকদের চ্যালেঞ্জ করে এগিয়ে গেলে পাচারকারীরা বিজিবি সদস্যদের ওপর অতর্কিকে গুলি চালায়। এসময় আত্মরক্ষার্থে বিজিবি সদস্যরাও পাল্টা গুলি করে। গোলাগুলির এক পর্যায়ে পাচারকারীরা পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালানোর সময় এক যুবককে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার এবং এক লাখ বিশ হাজার পিস ইয়াবাসহ একটি দেশীয় তৈরি এলজি বন্দুক, দুই রাউন্ড তাজা কার্তজ ও একটি ধারালো কিরিচ উদ্ধার করে। একই সাথে গুলিবিদ্ধ যুবককে প্রথমে টেকনাফ স্বাস্থ্যকমপ্লেক্স ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। বর্তমানে মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে টেকনাফ থানায় সংশ্লিষ্ট আইনে মামলা করেছে।