লংগদু থানার ওসি সৈয়দ মোহাম্মদ নূর বলেন, ‘দুপুরে ঘটনার বিষয়টি শুনলেও দুর্গম ওই এলাকায় সেনাবাহিনী ও পুলিশ পৌঁছানোর পর রাত ৮টার দিকে লাশ উদ্ধার করার পর বিষয়টি নিশ্চিত হই আমরা।’
পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (এমএনলারমা) লংগদু উপজেলা কমিটির সভাপতি অলঙ্গলাল চাকমা এই হত্যাকাণ্ডের জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্ত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতিকে দায়ী করে বলেন, ‘পান্ডব চাকমা তাদের একসময়ের সক্রিয়কর্মী হলেও বেশ কিছুদিন ধরে নিষ্ক্রিয় ছিল। পুরনো ক্ষোভের কারণে এই ঘটনা ঘটিয়েছে জেএসএস।’
ওসি জানান, নিহত পান্ডব চাকমা বাঘাইছড়ি উপজেলার রাঙাদূরছড়ি এলাকার প্রফুল্ল চাকমার ছেলে। তিনি গত পাঁচ মাস ধরে এলাকায় অনুপস্থিত ছিলেন। শনিবার এলাকায় এলে অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা তাকে ধরে নিয়ে গিয়ে গুলি করে হত্যা করেছে বলে জেনেছি। তার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসেছেন। তারা অভিযোগ করলে সেই মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য রাঙামাটি সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে।
এই বিষয়ে কথা বলার জন্য সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির একাধিক নেতার ফোনে কল করা হলে তাদের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।