মানহানির অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা

ব্রাহ্মণবাড়িয়াব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শফিকুল আলম ও জেলা আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মুক্তিযোদ্ধা আমানুল হক সেন্টুর বিরুদ্ধে জিডিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা আল-মামুন সরকার বাদী হয়ে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর মডেল থানায় মামলাটি দায়ের করেন।

১৪ জানুয়ারি সদর মডেল থানায় এজাহার দায়ের করা হলেও ২৩ জানুয়ারি বিকালে মামলাটি (নম্বর ৫৮) নথিভুক্ত হয়।

এজাহারে অভিযোগ করা হয়েছে, ২০১৯ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবসে জেলা পরিষদ মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। দুর্বৃত্তদের হামলার ঘটনাকে শফিকুল আলম ও আমানুল হক সেন্টু মামলার বাদী আল-মামুন সরকার এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি যুদ্ধাহত মুক্তিযোদ্ধা র.আ.ম. উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীকে জড়িয়ে ৭১ টিভি, স্থানীয় একটি সাপ্তাহিক পত্রিকা ও অনলাইন নিউজ পোর্টালে মানহানিকর, আপত্তিজনক ও বিভ্রান্তিমূলক বক্তব্য দেয়। যা নিয়ে খবর প্রকাশিত হয়।

মামলার বাদী আল-মামুন সরকার বলেন, ‘আসামিদেরকে তাদের বক্তব্য প্রত্যাহার করার জন্য উকিল নোটিশ করেছিলাম। তারা উকিল নোটিশ পেয়ে তাদের জবাব দেননি। তাই তাদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করেছি।’

মামলার আসামি ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শফিকুল আলম বলেন, ‘আমাদের বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিহিংসাবশত এই মামলা দায়ের করা হয়েছে। আমরা এই মামলার নিন্দা জানাই। আমরা আইনিভাবেই মামলা মোকাবিলা করবো।’

সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন বলেন, ‘আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। বৃহস্পতিবার বিকালে মামলার আসামি আমানুল হক সেন্টুর বাড়িতে পুলিশ গিয়ে তাকে পায়নি।’