ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে অবরোধ



ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় আন্তঃনগর ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে অবরোধব্রাহ্মণবাড়িয়া থেকে ঢাকা পর্যন্ত নতুন আন্তঃনগর ট্রেন দেওয়া, আসন সংখ্যা বৃদ্ধি, ঢাকা-সিলেট রুটের কালনী এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম-ময়মনসিংহ রুটের বিজয় এক্সপ্রেস ট্রেনের যাত্রাবিরতির দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি ও রেলপথ অবরোধ করেছে জেলা নাগরিক ফোরাম।

শনিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশনের প্লাটফর্মে এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এতে জেলার বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন। অবস্থান ও অবরোধ কর্মসূচি চলাকালে সিলেট-ঢাকা রুটের বিরতিহীন কালনী এক্সপ্রেস ট্রেনটি ব্রাহ্মণবাড়িয়া স্টেশনে আসলে অবরোধের কবলে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এতে অন্তত ১০ মিনিট পরে ট্রেনটি ঢাকার উদ্দেশে ছেড়ে যায়।

জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি অভিযোগ করেন বলেন, ‘ব্রাহ্মণবাড়িয়া রেলওয়ে স্টেশন ঢাকা, চট্টগ্রামের পর টিকিট বিক্রির দিক থেকে দেশের তৃতীয় লাভজনক রেলওয়ে স্টেশন। এই স্টেশন থেকে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আয় করছে। টিকিট স্বল্পতা নতুন ট্রেনের যাত্রাবিরতিসহ নানা সমস্যার জন্য এই অঞ্চলের মানুষ অবহেলিত। আগামী ২৯ ফেব্রুয়ারি মধ্যে দাবি আদায় না হলে পহেলা মার্চ থেকে হরতালসহ কঠোর কর্মসূচি দেওয়া হবে।’

অবস্থান কর্মসূচিতে জেলা নাগরিক ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক পীযুষ কান্তি আচার্যের সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন প্রেস ক্লাবের সভাপতি খ.আ.ম রশিদুল ইসলাম, নাট্যব্যক্তিত্ব মনঞ্জুরুল আলম, সাবেক সদর উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবু হোরাইয়ারাহ।