ইভটিজিংয়ে বাধা দেওয়া নিয়ে দ্বন্দ্বে ব্যবসায়ীকে হত্যা

কুমিল্লাকুমিল্লা নগরীর সংরাইশে এক নারীকে ইভটিজিংয়ের প্রতিবাদ করা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় আবদুল মতিন (৬০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। ঢাকার একটি হাসপাতালে সোমবার (৩০ মার্চ) সকালে তার মৃত্যু হয়। কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনারুল হক এ তথ্য জানান।

এর আগে রবিবার (২৯ মার্চ) সন্ধ্যায় নগরীর সংরাইশ শিশু উদ্যান এলাকায় ইভটিজিং সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে দু'পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। ওই ঘটনায় মতিন, মতিনের ছেলে ও ভাতিজাসহ দু'পক্ষের ৪-৫ আহত হন।

নিহত আবদুল মতিন ওই এলাকার মৃত মনা মিয়ার ছেলে। তিনি কুমিল্লার চকবাজারে চালের আড়তের ব্যবসায়ী ছিলেন।

স্থানীয়রা জানান, আলামিন নামে এক ব্যক্তির নেতৃত্বে এই হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আলামিন সংরাইশ এলাকার ইদু মিয়ার ছেলে।

ওসি জানান, হামলার পর আহত অবস্থায় আবদুল মতিনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়া হলে আজ সকালে তার মৃত্যু হয়। লাশ বর্তমানে ঢাকায় আছে। হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে হৃদয় (২৫) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়েছে। হামলার শিকার ব্যক্তিদের অভিযোগ অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনও থানায় কোনও অভিযোগ করা হয়নি। 

কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ১৬ নম্বর ওয়ার্ডের স্থানীয় কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম বাবুল জানান, এক নারীকে ইভটিজিং করায় আলামিন ও তার বন্ধুকে বাধা দেয় নিহত মতিনের ভাতিজা। বাধা দেওয়ার ঘটনার সূত্র ধরে আলামিন ও তার সহযোগীরা মতিনের বাড়িতে হামলা চালায় এবং মারধর করে। হামলায় মতিন, তার ছেলে এবং ভাতিজা আহত হন। গুরুতর অবস্থায় মতিনকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে সেখানে তিনি মারা যান।