ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা করোনায় আক্রান্ত

ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তারনিরাপদ খাদ্য উৎপাদন ও খাদ্য সংকট মোকাবিলায় বিভাগীয় দায়িত্ব পালনকালে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ফেনী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শারমিন আক্তার। বর্তমানে তিনি চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এছাড়াও জেলায় নতুন করে আরও ৩০ জনের দেহে করোনা পজিটিভ শনাক্ত  হয়েছে। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) ফেনীর ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. মাসুদ রানা এ তথ্য জানান।

শারমিন আক্তার জানান, গত ২৮ জুন জ্বর এলে বাসায় থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নেন তনি। কিন্তু  দুই-এক দিনের মধ্যে জ্বরের পাশাপাশি শরীর ব্যথা, গলা ব্যথা, ঘ্রাণশক্তি কমে যাওয়া এবং জিহ্বায় স্বাদ কমে যাওয়ার মতো উপসর্গ দেখা দেয়। দুদিন পর জ্বর ও শরীরের ব্যথা বৃদ্ধি পেলে ফেনী জেনারেল হাসপাতালে করোনা পরীক্ষায় নমুনা দেন তিনি। মঙ্গলবার (৭ জুলাই) সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কল করে তার করোনা পজিটিভের রিপোর্টের কথা জানায়।

এই কৃষি কর্মকর্তা বলেন, 'জনগণের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতে আমাদের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করতে হয়েছে। দায়িত্বে অবহেলা করিনি, তাই করোনা আক্রান্ত হলেও মনোবল অটুট আছে। বিশ্বাস করি, সবার দোয়া ও আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে উঠবো।

ফেনী সদর উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, করোনা পরিস্থিতিতে বিভাগীয় দায়িত্ব পালনকালে শারমিন আক্তারকে বহুবার কৃষকদের কাছাকাছি গিয়ে কাজ করতে হয়েছে। বিশেষ করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প ও প্রণোদনা বাস্তবায়ন ও মাঠ পর্যায়ে প্রদর্শনী ও ক্ষেত নিয়মিত পরিদর্শন করেছেন। দায়িত্বপালনকালে কোনও এক সময় তিনি আক্রান্ত হয়েছে। 

শারমিন আক্তারের একমাত্র শিশু পুত্র সাহিদ তাজওয়ার (৫)। সেও গতকাল থেকে জ্বরে ভুগছে। তিনি তার শিশুর সুস্থতার জন্যও সবার দোয়া কামনা করেছেন।

ডা. মাসুদ রানা জানান, নোয়াখালীর আবদুল মালেক উকিল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ল্যাব হতে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ফেনীর ৯১টি নমুনার মধ্যে মঙ্গলবার ৩০ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা ৯৩৩ জনে দাঁড়ালো। নতুন শনাক্তকৃতদের মধ্যে সদরে ১২ জন, দাগনভূঞায় ৪ জন, সোনাগাজীতে ৭ জন, ছাগলনাইয়ায় একজন এবং ফুলগাজী ও পরশুরামে ৩ জন করে রয়েছেন।