সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ওসি প্রদীপ আদালতে আসার আধাঘণ্টা আগে হত্যা মামলার প্রধান আসামি লিয়াকতসহ আট জনকে কড়া প্রহরায় একই আদালতে আনা হয়েছে। এর আগে আট আসামি পুলিশের কাছে আত্মসমর্পণ করেছেন বলে জানা গেছে। আদালতে আনার পর তাদের হাজতখানায় রাখা হয়। এরপর তাদের আদালতে তোলা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখন শুনানি চলছে।
মামলায় ওসি প্রদীপ ছাড়াও বাকি আসামিরা হলেন বাহারছড়া শামলাপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রে প্রত্যাহারকৃত পরিদর্শক লিয়াকত আলী, এসআই নন্দলাল রক্ষিত, কনস্টেবল সাফানুর করিম, কনস্টেবল কামাল হোসেন, কনস্টেবল আব্দুল্লাহ আল মামুন, এএসআই লিটন মিয়া, এসআই টুটুল, কনস্টেবল মোস্তফা। তাদের মধ্যে ওসি প্রদীপ অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে আগেভাগে ছুটি নিয়ে আত্মগোপনে গেলেও বাকিরা পুলিশ লাইনেই রয়েছেন।
প্রসঙ্গত, শুক্রবার (৩১ জুলাই) রাত সাড়ে ১০টার দিকে কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভের বাহারছড়া ইউনিয়নের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত হন মেজর সিনহা রাশেদ খান। এ ঘটনায় চট্টগ্রামের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমানকে প্রধান করে একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জন ও নিরাপত্তা বিভাগ। একইভাবে তদন্তের স্বার্থে টেকনাফের বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ লিয়াকত আলিসহ ১৬ পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
এ ঘটনায় বুধবার দুপুরে কক্সবাজার সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করেন মেজর সিনহার বড়বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস। মামলাটির শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে তা ‘ট্রিট ফর এফায়ার’ হিসেবে আমলে নিতে টেকনাফ থানাকে আদেশ দেন আদালতের বিচারক। আদালতের নির্দেশে টেকনাফ থানায় মামলাটি রুজু হয়। দণ্ডবিধি ৩০২, ২০১ ও ৩৪ জামিন অযোগ্য ধারায় মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়। বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে টেকনাফ থানায় মামলাটি রুজু করা হয়। মামলা নম্বর সিআর: ৯৪/২০২০ইং/টেকনাফ।